কলকাতায় পড়াশোনা করছেন স্বপ্ন রয়েছে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রী অর্জন করবেন। কী ভাবে যোগাযোগ করবেন, কোথায় থাকবেন, খরচই এ বার এক ছাতার তলায় পেয়ে যাবেন কলকাতায় বসেই আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে।
ভারতীয় পড়ুয়াদের বিদেশে পড়ার সুযোগ করে দিতে এগিয়ে এল দুবাইয়ের কনসালটেন্সি সংস্থা ‘মেটা অ্যাপ্লাই।’ এই সংস্থাটির প্রধান কাজ হল ভারতবর্ষের ১০টি রাজ্যের মেধাবী পড়ুয়াদের বিদেশে পড়ার সুযোগ করে দেওয়া। ইতিমধ্যেই দীর্ঘদিন ধরে এই সংস্থাটি দুবাইতে তাদের কার্য প্রক্রিয়া চালাচ্ছে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে। ভারতে এদের রিজিওনাল হেড অফিস রয়েছে নয়ডাতে।
সংস্থার রিজিওনাল সেলস ডিরেক্টর বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, “কলকাতা সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পড়ুয়াদের বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সুযোগ করে দেওয়াই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি তাঁদের থাকা ও বিদেশের জমিতে যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেটাও আমরাই তদারকি করব।”
উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর বহু পড়ুয়ার স্বপ্ন থাকে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর নিয়ে পড়াশোনা করার। কিন্তু কি ভাবে যোগাযোগ স্থাপন হবে, কোন বিশ্ববিদ্যালয় কতটা গুণগত মান, কি বিষয় পড়ানো হবে আর বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে গেলে কী ভাবে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয় তা অনেক পড়ুয়া বা বাবা মায়েদের জানা নেই। ফলে ইচ্ছা থাকলেও স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব হয় না। এ বার কলকাতায় পড়ুয়াদের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে “মেটা অ্যাপ্লাই এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার।”
কলকাতার সেন্টারের হেড অঙ্কিতা তিওয়ারি বলেন, “কলকাতা পড়ুয়ারা অনেক বেশি মেধাবী। তারাও যাতে বিদেশে পড়ার সুযোগ পায় তাই এখানেও এই সেন্টার খোলা হল। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার আগে কি ভাবে পড়ুয়ারা নিজেদের তৈরি করবে তাও এই সেন্টারে হাতে-কলমে শেখান হবে।"
বর্তমানে এই সংস্থার অধীনে বিদেশের ১৯ টি দেশের সঙ্গে কোলাবরেশন রয়েছে। প্রায় ৩৫০-বেশি বিদেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই সংস্থাতার যৌথ উদ্যোগে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ করে দিচ্ছে। কলকাতায় প্রথম এই সংস্থার তার সেন্টার স্থাপন করল। যার শুভ সূচনা করলেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের চিফ ইনোভেশন অফিসার মেঘদূত রায় চৌধুরী এবং অতিথি শিল্পী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘মেটা অ্যাপ্লাই’-এর মার্কেটিং ম্যানেজার সাক্ষী জৈন।
তিনি বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। যেখানে বিদেশে পড়তে ইচ্ছুক পড়ুয়ারা সহজেই সমস্ত বিষয়ে জানতে পারবেন এবং বিদেশে মাটিতে নিজেদের পছন্দ মতন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে উচ্চ শিক্ষাও সম্পন্ন করতে পারবেন।” এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আরও অনেক গুণীজনেরা। শিক্ষাবিদ ও সংস্থার দেশীয় প্রধান–ফ্র্যাঞ্চাইজি ঋষি জোশান, অধ্যাপক মানসী রায় চৌধুরী এবং জিবিএস ইউকে বিজনেস ডেভেলপমেন্টের ডিরেক্টর অসীম দত্ত, সংস্থার পক্ষ থেকে ছিলেন ছাত্র নিয়োগের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর প্রশান্ত সালি, ইউনিভার্টিসি পার্টনারশিপের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর পবন ভাটিয়া প্রমুখ।
ভারতবর্ষের কলকাতা সহ ১০টি রাজ্যে এই সেন্টার স্থাপন করা হবে, বর্তমানে সাতটি রাজ্যে এই সেন্টারটির কার্যপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ থেকে শুরু হল কলকাতা তাদের পথ চলা। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে সংস্থার লক্ষ্য ভারতবর্ষ থেকে ১০ হাজার পড়ুয়াকে বিদেশে পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়া।