আজই নয়া পাঠ্যক্রম প্রকাশ উচ্চ মাধ্যমিকের, নির্দিষ্ট সময়ে বই পাওয়া নিয়ে থাকছে সংশয়

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যক্রমকে চারটে ভাগে ভাগ করেছে। যারা ভালো পড়ুয়া তারা মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছু দিনের মাথায় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনোর জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। বিশেষ করে বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ১২:৩৪

— ফাইল চিত্র।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হতে চলেছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সেমেস্টার সিস্টেমে নয়া পাঠ্যক্রম। উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিক ভাবে তা প্রকাশ করা হবে। পাঠ্যক্রম প্রকাশ করা হলেও বই কবে পড়ুয়ারা হাতে পাবে তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে প্রকাশক থেকে পড়ুয়াদের মধ্যে।

Advertisement

ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। খাতা দেখা চলছে। এপ্রিলের শেষে ফলাফল ঘোষণা হতে পারে মাধ্যমিকের। তার পরেই শুরু হবে ভর্তি প্রক্রিয়া আর জুন মাস থেকে শুরু হবে একাদশ শ্রেণির ক্লাস। অর্থাৎ হাতে আর মাত্র দেড় মাস সময়। এর মধ্যে বই ছাপিয়ে তা স্কুলগুলিকে পাঠানো সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে শিক্ষা মহলের সর্ব স্তরে।

যদিও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে পাঠ্যসূচি আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করার পর প্রকাশকদের সঙ্গে এই নিয়ে বিস্তারিত বৈঠক করা হবে। প্রয়োজন হলে একাদশ শ্রেণির প্রথম সেমেস্টারের বই আগে ছাপিয়ে দেওয়া হবে এ বছরের জন্য। তার পর দ্বিতীয় সেমিস্টার ও দ্বাদশ শ্রেণির বই ছাপানো হবে। তাতে জটিলতা অনেকটাই কাটবে।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “দরকার হলে একাদশ শ্রেণির প্রথম সেমেস্টারের বই আগে দেওয়া হবে এ বছরের জন্য। তা হলে ছয় মাসের সময় পাওয়া যাবে। দ্বিতীয় সেমিস্টারের বই নভেম্বর ও ডিসেম্বর নাগাদ দেওয়া হবে।”

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যক্রমকে চারটে ভাগে ভাগ করেছে। যারা ভাল পড়ুয়া, তারা মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছু দিনের মাথায় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনোর জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। বিশেষ করে বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা। পাঠ্যসূচি পরিবর্তন ও নতুন পদ্ধতি চালু হওয়ার জন্য এ বার তা শুরু করতে পারছে না বহু পড়ুয়াই। শিক্ষা অনুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “সিলেবাস পরিবর্তনের জন্য যে সময়টা বাছা হয়েছে সেটা অযৌক্তিক ও অবাস্তব। পরিবর্তনের ইচ্ছা থাকলে আগে থেকে কেন পুরো বিষয়টা করা হল না? এতে ছাত্র-ছাত্রীদের যেমন ক্ষতি হবে, শিক্ষকদের মধ্যেও বিভ্রান্তি তৈরি হবে। সর্বোপরি শিক্ষক সংগঠনগুলোকে অন্ধকারে রেখে এই পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করা হচ্ছে।”

শিক্ষা সংসদ সূত্রের খবর, প্রায় এক দশক বাদে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রম ৯০% বদলে যাচ্ছে। দিল্লি বোর্ডের আগে রাজ্যের দু’টি সেমেস্টারে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার হবে তা ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে, এবং ২০২৬ সালের মার্চ মাসে দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে।

বেশ কিছু শিক্ষক সংগঠনের বক্তব্য হচ্ছে শিক্ষা সংসদ যখন সেমেস্টার সিস্টেম চালু করল তখন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিকে আলাদা করল কেন। শহরের স্কুল আর প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলের মান এক নয়। পুরোটাই শিক্ষা সংসদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, “হাট গোবিন্দ স্কুল ও বালিগঞ্জ স্কুলের প্রশ্নের মান এক নয়। সেমেস্টার সিস্টেম চালু করতে গেলে চারটে সেমেস্টারের দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষা সংসদকে। না হলে এই নিয়ম চালু না করা ভাল।”

আরও পড়ুন
Advertisement