প্রতীকী ছবি
ভোটের মুখে রাজ্যর সরকারি স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই সংক্রান্ত গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল স্কুল শিক্ষা দফতর। সব মিলিয়ে ১০০০ বেশি শূন্য পদে নিয়োগ হতে চলেছে বলে জানিয়েছে সরকার।
স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফ থেকে প্রকাশিত হওয়া গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের নয়া বিধি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে, এনসিটিই গাইডলাইন মেনে ব্যাচেলার অফ এডুকেশন (বিএড) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বিকাশ ভবনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, দীর্ঘ এক দশক বাদে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সরকারি স্কুলগুলিতে নিয়োগ করা হচ্ছে। জটিলতা ও বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে নিয়োগের গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
এই পরীক্ষা নেবে পাবলিক সার্ভিস কমিশন। প্রথমে লিখিত পরীক্ষা ও পরে পার্সোনালিটি টেস্ট নেওয়া হবে। এই পদগুলির নিয়োগকর্তা হবেন স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনার। এ ছাড়াও যাবতীয় তথ্য বিস্তারিত ভাবে গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। যার ভিত্তিতেই সরকারি হাইস্কুল, মডেল স্কুল, ইন্টিগ্রেটেড স্কুল ও ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেটেড সরকারি স্কুলগুলিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা পদে পরীক্ষায় বসার জন্য ভারতীয় নাগরিক হতে হবে পরীক্ষার্থীদের। এনসিটিই যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। যে ভাষায় পরীক্ষা দিতে চান সেই ভাষায় বলা ও লেখা, দুই বিষয়ে সাবলীল হতে হবে। অনূর্ধ ৩৬ বছর বয়সিদের আবেদন গ্রহণ করা হবে।
প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকা পদে সরকারি স্কুলগুলিতে শূন্যপদ রয়েছে ৩৮। সরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে সহকারী শিক্ষক/ শিক্ষিকার শূন্যপদ রয়েছে ১৬৫। এ ছাড়া বাংলা মাধ্যমে শূন্যপদ রয়েছে ৯৬৫। সব মিলিয়ে মোট ১১৬৯টি শূন্যপদে নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর।