Appointment of Head Masters

প্রধান শিক্ষক‌ ও শিক্ষিকা নিয়োগ, লোকসভা ভোটের আগেই গেজেট বিজ্ঞপ্তি সরকারের

সরকার ও সরকার পোষিত স্কুল মিলিয়ে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকার মোট শূন্য পদ রয়েছে প্রায় ৪৫০০ মতো। প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণও চালু করা হচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৪ ১৩:৫২

প্রতীকী ছবি

সরকার ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে। এর জন্য রাজ্য সরকার গেজেট নোটিফিকেশন জারি করতে চলেছে লোকসভা ভোটের আগেই। শুক্রবার এই নিয়ে বিকাশ ভবনে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারি এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

Advertisement

বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, সরকার ও সরকার পোষিত স্কুল মিলিয়ে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকার মোট শূন্য পদ রয়েছে প্রায় ৪৫০০ মতো। প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণও চালু করা হচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “আমি শুনেছি কাজ প্রায় শেষের মুখে, সরকারের তরফ থেকে গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করলেই আমরা দ্রুত প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োগের পরীক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করব।”

২০১৭ সালে শেষ শিক্ষক ও শিক্ষিকার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি হয়েছিল, আর নিয়োগ হয়েছিল ২০১৯ সালে। কিন্তু সেই নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি ও স্বজন পোষণের অভিযোগ সামনে আসে। তারপর প্রায় দীর্ঘ ছয় বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের প্রায় সমস্ত স্কুল প্রধান শিক্ষক বিহীন বলে জানাচ্ছে সংগঠনগুলি। অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাষ্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “সারা রাজ্যে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক- শিক্ষিকা নেই। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে নিয়োগের পথে হাঁটছে সরকার। তবে বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা নয়, স্কুল সার্ভিস কমিশন যেন পরীক্ষা নেয়, আমাদের এটাই প্রধান দাবি ছিল। প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পর যে সমস্ত শিক্ষক পদ ফাঁকা হয়ে যাবে সেগুলো দ্রুত নিয়োগ করতে হবে। তা না হলে শিক্ষার ভারসাম্য নষ্ট হবে।”

স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ও আইনি জটিলতা যাতে তৈরি না হয়, পরীক্ষার নিয়মেও একাধিক পরিবর্তন আনতে চলেছে সরকার। সূত্রের খবর, এ বছর প্রথম সংরক্ষণ চালু করা হচ্ছে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে। ওএমআর শিটে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্রের কার্বন কপিও দেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার ফলাফল মিলিয়ে ফল প্রকাশ করা হবে। মেরিট লিস্টেও একই ভাবে সেই নম্বর দেওয়া থাকবে।

বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন ম‌ণ্ডল বলেন, “দীর্ঘ ছয় বছর হয়ে গেল প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার নিয়োগ থমকে রয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই। ২০২২-সালে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল, শীঘ্রই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। আর তারপরে আর‌ও দু’বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল।”

বিভিন্ন স্কুলেরশিক্ষকদের বক্তব্য,নিয়োগ থমকে থাকায় বহু স্কুলইঅভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে স্কুলগুলি।তবে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার নিয়োগ হলে শিক্ষক নিয়োগেরশূন্য আসনবৃদ্ধি পাবে এবং সেখানেও যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা কাজের সুযোগ পাবেন বলে মনে করছেন একাধিক স্কুলের শিক্ষকেরা। যোধপুর পার্ক গার্লস হাই স্কুলের সহ প্রধান শিক্ষিকা অজন্তা চৌধুরী বলেন, “বহু স্কুল রয়েছে যেখানে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই। তার ফলে স্কুল পরিচালনায় নানান জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সরকার নিয়োগ করতে চলেছে। আমরা এই বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছি। নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়া চললে শিক্ষক আসন ফাঁকা হবে।সেখানেও যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা নিয়োগ পাবেন।”

আরও পড়ুন
Advertisement