বেহালা ক্লাবের প্রতিমা
কোলাজের মতো ম্যাপের সারি যেন নিয়ে যেতে চাইবে সকলের অতি পরিচিত সেই জায়গায়, যেখানে শুধু দক্ষিণ রায় থাকে না। থাকে গড়াণ, হেঁতালের সারি, আছে মাতলা-বিদ্যাধরী, আছে খাল-বিলের কাটাকুটি, সীতারামপুর থেকে নেতাধোপানি। সুন্দরবনের এই সুন্দর দৃশ্য নিয়েই ৮০তম বর্ষে বেহালা ক্লাবের নিবেদন ‘আরণ্যক’। নেপথ্যে শিল্পী প্রদীপ দাস।
মানচিত্রের ভিড়ে উঁকি মারতে থাকে বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর দল। যেন তারা বিবর্তনের ইতিহাস বলার জন্যই ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে এসেছে। মানচিত্র দেখতে দেখতে পা গিয়ে থামবে জঙ্গলের আরাধ্যা দেবী বনবিবির সামনে। আছে দক্ষিণ রায় অথবা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পায়ের ছাপ যা দেখে শিহরণ জাগে মনে। কিছুক্ষণ হয়তো মনে হতে পারে আপনি বেহালায় নন দাঁড়িয়ে আছেন সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে।
জঙ্গলের মানুষের গল্প পড়তে পড়তে তাদের সঙ্গে একাত্ব হয়ে যাবেন আপনিও, মনে হবে কেন এই জীবনের বাজি রেখে জঙ্গলে যাওয়া! পেটের দায়ে মধু সংগ্রহ করতে যাওয়া হোক কিংবা মাছ-কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বিপদের মুখে পড়া, তাদের জীবনযাত্রা ভাবিয়ে তুলবে আপনাকেও।
কী ভাবে যাবেন?
মহানায়ক উত্তম কুমার কিংবা রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন থেকে অটো অথবা বাসে বেহালা থানা আসতে হবে। সেখান থেকে পা হেঁটেই পৌঁছে যাবেন বেহালা ক্লাবে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy