প্রতিবন্ধী কিশোরকে উত্ত্যক্ত করছিলেন এক দল যুবক। বিষয়টি অনেক ক্ষণ ধরেই লক্ষ করছিলেন রেস্তরাঁর সহকারী ম্যানেজার। বিষয়টি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছতেই তিনি প্রতিবাদ করেন। যুবকদের বলেন, “যেটা তোমরা করছ, ঠিক নয়। ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। ওকে ছেড়ে দাও।” ম্যানেজারের এই কথা শুনে চটে যান যুবকরা।
তাঁদের মধ্যেই এক জন ম্যানেজারের সঙ্গে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। অভিযোগ, কথা কাটাকাটির মধ্যে আচমকাই তাঁর চোখে ঘুসি মারেন ওই যুবক। সঙ্গে সঙ্গে ম্যানেজারের চোখ থেকে রক্ত বেরিয়ে আসে। তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেও তরুণীর চোখ রক্ষা করতে পারেননি। ঘটনাটি আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়ার।
ফক্স কেটিভিইউ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আক্রান্ত মহিলার নাম বিয়াঙ্কা প্লোমেরা। যে কিশোরকে হেনস্থা করা হচ্ছিল, সে ওই রেস্তরাঁর কর্মী। বিয়াঙ্কা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর কথায়, “একটা দুঃস্বপ্নের মতো লাগছে গোটা ঘটনা। বিশ্বাসই হচ্ছে না যে, আমি এক চোখের দৃষ্টি হারিয়েছি। সামান্য আফসোসও হচ্ছে। যাইহোক, চোখ তো আর ফিরে পাব না।” তবে সহকর্মীকে হেনস্থার হাত থেকে বাঁচাতে পেরে তিনি খুশি।
রেস্তরাঁর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনার একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।