—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পোলিয়ো টিকাকরণের জন্য গাজ়ায় সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিল ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এমনটাই জানানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র তরফে। হু-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গাজ়াকে তিনটি বা চারটি অঞ্চলে বিভক্ত করে দিনের নির্দিষ্ট একটি সময়ে হামলা বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে যুযুধান দুই পক্ষ। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ তিন থেকে চার দিন হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত হামাস কিংবা ইজ়রায়েল আনুষ্ঠানিক ভাবে মুখ খোলেনি।
হু-এর আধিকারিক জানিয়েছেন পোলিয়োর টিকাকরণ প্রথমে শুরু হবে মধ্য গাজ়ায়। তার পর হবে দক্ষিণ গাজ়ায়। একদম শেষে টিকাকরণ চলবে উত্তর গাজ়ায়। যখন যে অঞ্চলে টিকাকরণ চলবে, সেখানে তিন দিন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে। প্রয়োজনে এটি চার দিন হতে পারে। প্রতি দিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত টিকাকরণ কর্মসূচি চলবে। হু-এর অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক রিক পিপারকর্ন জানিয়েছেন, এই সময়ে কোনও পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলা চালাবে না।
হু-এর একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রথমে টিকাকরণ কর্মসূচির জন্য একটি করে দিনই ধার্য হয়েছিল। পরে দেখা যায়, আরও দু’দিন হাতে না পাওয়া গেলে টিকাকরণ কর্মসূচি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। হু-এর আপৎকালীন রোগ বিষয়ক ডিরেক্টর মাইক রায়ান বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, “আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, টিকাকরণ কর্মসূচিতে অতিরিক্ত এক-দু’দিন হাতে রাখা প্রয়োজন।”
হু-এর প্রাথমিক লক্ষ্য, প্রতিটি ধাপের টিকাকরণ কর্মসূচিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার ৯০ শতাংশ শিশুকে অন্তর্ভুক্ত করা। পরিসংখ্যান বলছে, গাজ়ায় প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ শিশুর বাস। তাদের মধ্যে পোলিয়োর মতো রোগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য এখন থেকেই সচেষ্ট হতে চাইছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত ২৩ অগস্ট গাজ়ায় একটি শিশু টাইপ টু পোলিয়ো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তার পরেই উদ্বেগ বেড়েছে হু-এর। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে গাজ়ার বহু শিশু এমনিতেই অপুষ্টিতে ভুগছে। তার উপরে পোলিয়োর মতো রোগ ছড়িয়ে পড়লে গোটা বিশ্বেই তার প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।