গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘নৈতিক সমর্থন’ মিলেছিল আগেই। এ বার ইজ়রায়েল বিরোধী লড়াইয়ে ক্রেমলিন সক্রিয় সহযোগিতার পথে হাঁটতে চলেছে বলে আমেরিকার একটি গোয়েন্দা রিপোর্টে শুক্রবার দাবি করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে, ইউক্রেনের যুদ্ধে অংশ নেওয়া পুতিনের ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার লেবাননের সশস্ত্র শিয়া গোষ্ঠী হিজ়বুল্লাকে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিতে চলেছে।
ইরানের মদতপুষ্ট হিজবুল্লাকে ওয়াগনার বাহিনী এসএ-২২ বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিতে চলেছে বলে আমেরিকার গোয়েন্দা সূত্র উদ্ধৃত করে সে দেশের সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্ট জানাচ্ছে। পশ্চিমী দুনিয়ার কাছে ‘প্যান্সার-এস১’ নামে পরিচিত রাশিয়ার নির্মিত এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা হাতে পেলে হিজ়বুল্লা যোদ্ধারা রাডারের সাহায্যে ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমানের ‘গতিবিধি’ আগাম আঁচ করতে পারবেন। চালাতে পারবেন পাল্টা হামলাও।
নানা ক্যালিবার এবং পাল্লার রকেটের পাশাপাশি, হিজ়বুল্লার হাতে রয়েছে ‘গাইডেড’ ক্ষেপণাস্ত্রও! সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তার উত্তরসূরি রাশিয়ার তৈরি একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট রয়েছে সেই তালিকায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত রুশ রকেট কাতুসা এবং তার পরবর্তী সংস্করণ বিএম-২১ গ্রাদ হিজ়বুল্লার অন্যতম শক্তি।
সামরিক ট্রাকে বহনযোগ্য ১০৭ এবং ১২২ মিলিমিটারের এই ‘মাল্টি ব্যারেল রকেট’-এর বেশ কয়েকটি সংস্করণ রয়েছে হিজ়বুল্লা হাসান নাসারুল্লার বাহিনীর হাতে। ১১ থেকে ৫২ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রের কয়েকটি ইতিমধ্যেই ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করেছে তারা। সোভিয়েত জমানার ৩৫ কিলোমিটার পাল্লার বিএম-২১ উরগান এমনকি, ৫০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরকবাহী ৭০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘স্কাড’ রয়েছে হিজ়বুল্লার অস্ত্রাগারে। এই পরিস্থিতিতে এসএ-২২ হাতে পেলে তারা ইজ়রায়েলি বিমানহানার মোকাবিলায় সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।