Aleksandr Lukashenko

‘আক্রান্ত হলে রাশিয়া, বেলারুশের যৌথ প্রতিরোধ’! এ বার পুতিনের হুঁশিয়ারির নিশানায় ইউরোপ

পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের নেতৃত্বে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সমর্থনে সেনা পাঠাতে পারে বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর সেই আবহেই প্রতিক্রিয়া পুতিনের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৩৯
Share:
(বাঁ দিকে) আলেকজ়ান্ডার লুকাশেঙ্কো, (ডান দিকে) ভ্লাদিমির পুতিন।

(বাঁ দিকে) আলেকজ়ান্ডার লুকাশেঙ্কো, (ডান দিকে) ভ্লাদিমির পুতিন। —ফাইল চিত্র।

পশ্চিমি হামলার মুখোমুখি হলে রাশিয়া এবং তার মিত্ররাষ্ট্র বেলারুশ যৌথ ভাবে তা প্রতিরোধ করবে। বুধবার এই বার্তা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘটনাচক্রে, রুশ উপ-বিদেশমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ আমেরিকার দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব খারিজ করার কয়েক ঘণ্টা পরেই এই মন্তব্য করলেন পুতিন।

Advertisement

রাশিয়া-বেলারুশ ঐক্য দিবস উপলক্ষে পুতিন মঙ্গলবার বলেন, ‘‘সিকি শতাব্দীর বেশি সময় ধরে দু’দেশের মৈত্রী অক্ষুন্ন রয়েছে। উন্নয়ন থেকে প্রতিরক্ষার মতো নানা বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় হয়েছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা অটুট রাখার লক্ষ্যে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করব।’’

গত এক মাসের যুদ্ধে পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস (ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) এলাকায় প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা দখল করেছে রুশ ফৌজ। খারকিভ শহরের ইউক্রেন সেনার প্রতিরোধ ভেঙে পড়ার মুখে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের নেতৃত্বে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সমর্থনে সেনা পাঠাতে পারে বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেই আবহেই নাম না করে ইউরোপকে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন। প্রসঙ্গত, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দেওয়া মুলতুবি রাখলেও এখনও ইউক্রেনকে অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম জোগাচ্ছে ইউরোপ

Advertisement

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মতোই বেলারুশও সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের আর এক দেশ। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার লুকাশেঙ্কোর পরিচিতি ‘পুতিন-ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে। এমনকি, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মস্কো তাদের পরমাণু অস্ত্রভান্ডারের একাংশ বেলারুশে মজুত করেছে। গত মাসে রিয়াধে ওয়াশিংটন-মস্কো বৈঠকের পরে ট্রাম্পের পরামর্শে সাড়া দিয়ে পুতিন ‘সাময়িক যুদ্ধবিরতি’তে সম্মতি দেওয়ার পরে লুকাশেঙ্কো উপযাচক হয়ে তাঁর দেশে পরবর্তী বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্তে রুশ ফৌজ মোতায়েনেরও অনুমোদন দিয়েছেন লুকাশেঙ্কো।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement