কৃষ্ণসাগরের উপর ড্রোন ধ্বংস করেছে রাশিয়া, অভিযোগ আমেরিকার। ছবি: টুইটার।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে জো বাইডেন এবং ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ আরও বাড়ল। গত মঙ্গলবারই রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাদের ড্রোনকে ধ্বংস করে দেওয়ার অভিযোগ তোলে আমেরিকা। বৃহস্পতিবার অভিযোগের সপক্ষে ভিডিয়ো প্রকাশ করল আমেরিকা। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।
আমেরিকার অভিযোগ মোতাবেক, মঙ্গলবার কৃষ্ণসাগরের উপরে আমেরিকার বায়ুসেনার অন্তর্ভুক্ত একটি ড্রোন ‘পরিকল্পনামাফিক’ ধ্বংস করে দেয় রাশিয়া। রাশিয়া যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে। আমেরিকার এম কিউ নাইন জেট বিমানের পিছনের অংশে ছিল ড্রোনটি। অভিযোগ রাশিয়ার সু-২৭ গোত্রের একটি বিমান পর পর ২ বার তেল ফেলে ড্রোনটির উপরে। তার পর আমেরিকার জেট বিমানটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় রাশিয়ার জেট বিমানটির। ধ্বংস হয়ে যায় বিমানের সঙ্গে থাকা ড্রোনটি।
বৃহস্পতিবার আমেরিকার ইউরোপিয়ান কম্যান্ডের তরফে টুইট করে যে ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়, তাতে দেখা যাচ্ছে রাশিয়ান বিমানটি আমেরিকার বিমানটির উপরে উঠে জ্বালানি তেল ফেলছে। দ্বিতীয় বার একই কাজ করে ওই বিমানটি। প্রথম বার ড্রোনের প্রপেলারটি ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও দ্বিতীয় বার প্রপেলারের ঘোরা থেমে যায়। আমেরিকা এই ঘটনা সাধারণ দুর্ঘটনা বলে মানতে চাইছে না। বরং আন্তর্জাতিক আকাশপথে রাশিয়ার এই কাজকে ‘বেপরোয়া’ পদক্ষেপ হিসাবে দাবি করেছে বাইডেন প্রশাসন। রাশিয়া এবং ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থিত কৃষ্ণসাগর চলতি যুদ্ধের আবহে রণকৌশলের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। তার উপরে রাশিয়া এবং আমেরিকার এই ‘সংঘর্ষ’কে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।