সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলায় ইডির সমন এড়িয়ে গেলেন কবিতা। ফাইল চিত্র।
ইডির সমনে সাড়া দিলেও দিল্লিতে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে নিজে গেলেন না কে কবিতা। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)-এর কন্যা দলীয় প্রতিনিধিকে ইডি দফতরে পাঠান। সূত্রের খবর, নিজের অনুপস্থিতির কারণ হিসাবে কবিতা জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে মামলা চলছে। তাই শীর্ষ আদালতের রায় না শুনে এই বিষয়ে নতুন কোনও পদক্ষেপ করা উচিত নয়।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই কবিতাকে এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। গত ১১ মার্চ তাঁকে দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা মণীশ সিসৌদিয়াকে গ্রেফতার করেছে ইডি। গ্রেফতার হয়েছেন আরও ১১ জন অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, কবিতার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অরুণ রামচন্দ্র পিল্লাইয়ের মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরা করতে চাইছেন ইডি আধিকারিকেরা। কিছু দিন আগেই ইডি বর্ণিত ‘দক্ষিণ লবি’র অন্যতম অরুণ গ্রেফতার হন। কবিতা এবং অরুণকে মুখোমুখি জেরা করা হলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। যদিও একে রাজনৈতিক ভাবে বিরোধীদের ভয় পাওয়ানোর কৌশলের সঙ্গে যুক্ত করেছেন কেসিআর-কন্যা।
ইডির সমন জারির বিরুদ্ধে আগেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন কবিতা। আগামী ২৪ মার্চ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং পিএস নরসিমহার বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার কবিতা তাঁর দল বিআরএসের সাধারণ সম্পাদক সোমা ভারতকে তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে ইডি অফিসে পাঠান। সোমা গিয়ে কবিতার অনুপস্থিতির কারণ জানিয়ে কিছু নথি তুলে দিয়ে আসেন ইডি আধিকারিকদের হাতে। তবে ইডি সূত্রে খবর, কবিতার এই ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয় ইডি। আগামী ২০ মার্চ কবিতাকে আবার তলব করা হয়েছে।