ছবি: রয়টার্স
সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে বিশেষ কার্যকরী নয়। তবে রোগের ভয়াবহতাকে আটকাতে পারে একমাত্র টিকা-ই। করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক প্রজাতি বি ১৬১৭.২ প্রসঙ্গে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটেনের এক বিশেষজ্ঞ।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকা বিষয়ক যৌথ কমিটির প্রধান অ্যান্টনি হার্নডেন বলেছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত আমাদের হাতে যে প্রমাণ এসেছে, তাতে আমরা জেনেছি করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর রোগের ভয়াবহতা থেকে বাঁচানোর ক্ষমতা আছে টিকার। কিন্তু সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে টিকা তেমন কার্যকরী নয়।’’
করোনার এই প্রজাতি যা প্রথমে ভারতে পাওয়া গিয়েছিল, তা এখন ব্রিটেনেও ধীরে ধীরে ছড়াচ্ছে। এরই মধ্যে ব্রিটেনে দ্বিতীয় দফার লকডাউনের রাশ সোমবার থেকে কিছুটা আলগা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রশাসন। তার আগে করোনার এই বিশেষ প্রজাতির সংক্রমণ ক্ষমতা এবং টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সতর্ক করেছেন অ্যান্টনি।
তাঁর কথায়, ‘‘ভারতে প্রথম পাওয়া করোনাভাইরাসের ওই প্রজাতি অত্যন্ত সংক্রামক। অর্থাৎ একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে আগের থেকে অনেক বেশি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।’’ অ্যান্টনি জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে টিকা কোভিশিল্ড নামে দেওয়া হচ্ছে, তা করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভয়াবহ অসুস্থ হয়ে পড়া থেকে বাঁচাতে পারে। কিন্তু তা এই দ্রুত সংক্রামক ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পারে বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।