India-Pakistan Relationship

নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুক ভারত-পাকিস্তান, চায় আমেরিকা, মধ্যস্থতা করতে চায় ওয়াশিংটন?

এর আগেও একাধিক বার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা চেয়ে সওয়াল করেছে ওয়াশিংটন। অনেকেই মনে করেছেন, দুই দেশের মধ্যে আলোচনার পরিসর তৈরি করতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে চায় আমেরিকা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৪ ০৯:৪৪
Share:

(বাঁ দিকে) জো বাইডেন এবং নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা চেয়ে আরও এক বার সওয়াল করল আমেরিকা। বৃহস্পতিবার আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার জানান, ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় আমেরিকা। এর আগেও অবশ্য একাধিক বার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা চেয়ে সওয়াল করেছে ওয়াশিংটন। যা থেকে অনেকেই মনে করেছেন যে, দুই দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্কের রেশ কাটিয়ে আলোচনার পরিসর তৈরি করতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে চায় আমেরিকা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মিলার অবশ্য জানিয়েছেন, আলোচনার গতি, প্রেক্ষিত এবং চরিত্র নির্ধারণ করবে ভারত এবং পাকিস্তান। অর্থাৎ, এই বিষয়ে যে তারা হস্তক্ষেপ করতে চায় না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে আমেরিকা। বৃহস্পতিবার দৈনন্দিন সাংবাদিক বৈঠকে মিলার সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনে বলেন, “আমরা বলেছি যে, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি আলোচনা হলে তা সমর্থন করব। তবে বৈঠকের গতি, প্রেক্ষিত এবং চরিত্র দুই দেশেরই স্থির করা উচিত। তা আমাদের স্থির করা ঠিক হবে না।” আর একটি প্রশ্নের উত্তরে মিলার জানান, আমেরিকা এবং পাকিস্তান উভয়েরই লক্ষ্য আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকির মোকাবিলা করা।

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গত কয়েক দশকে একাধিক উত্থানপতনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। ২০১৯ সালের অগস্ট মাসে কাশ্মীর থেকে অনুচ্ছেদ ৩৭০ তুলে নেওয়ার মাধ্যমে বিশেষ মর্যাদা লোপ করার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে নামে। পাকিস্তান ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে দিয়ে কার্যত সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। ভারত অবশ্য নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, জম্মু ও কাশ্মীর দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই এই অঞ্চল নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তাদের হাতেই রয়েছে।

Advertisement

নয়াদিল্লির তরফে সর্বদা জানানো হয়েছে, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক চায়। কিন্তু ইসলামাবাদকে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং সীমান্তে সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। গত এপ্রিল মাসে আমেরিকার তরফে জানানো হয়েছিল, দুই দেশ সংঘাত এড়িয়ে আলোচনায় বসুক এবং আলোচনায় বসেই সমস্যার সমাধান করুক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement