যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার শ্রীনগরে। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
যোগাসনকে দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী করার বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার সকালে কাশ্মীরের শ্রীনগরে, ডাল লেকের ধারে অবস্থিত শের-ই-কাশ্মীর আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোদী। অন্যদের সঙ্গে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে যোগাসনও করেন। যোগাসনের ইতিবাচক দিকগুলি উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর কথায়। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যোগাসনের তাৎপর্যও ব্যাখ্যা করেন মোদী।
শ্রীনগরে মোদী বলেন, “আমরা দশম যোগ দিবস পালন করতে চলেছি। আমি সকলের কাছে অনুরোধ রাখছি যে, যোগাসনকে দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী করে তুলুন। যোগাসন শক্তি বৃদ্ধি করে, সুস্বাস্থ্যের সহায়ক হয়। আমি খুশি যে, এই বছর শ্রীনগরে যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরেছি।” শ্রীনগরকে ‘যোগ এবং সাধনার ভূমি’ বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
যোগাসন নিয়ে বিশ্বের ধারণা বদলাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মোদী। তাঁর কথায়,“গত ১০ বছরে যোগাসন নিয়ে ধারণা বদলে গিয়েছে। আজ বিশ্বে যোগাসন নতুন অর্থনীতির জন্ম দিয়েছে। ভারতে, হৃষীকেশ, কাশী থেকে কেরল— আমরা দেখছি যোগাসনকেন্দ্রিক পর্যটন। বিদেশের পর্যটকেরা যোগাসনের অভিজ্ঞতা নিতে ভারতে আসছেন। এই উন্নতির কারণে যুব সম্প্রদায়ের কাছে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।” যোগাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের উৎসাহের উদাহরণ দিতে গিয়ে মোদী ফ্রান্সের ১০১ বছর বয়সি বৃদ্ধার কথা তুলে ধরেন। যোগাসন প্রশিক্ষক ১০১ বছরের ওই বৃদ্ধাকে ভারত পদ্মশ্রী সম্মান দিয়ে সম্মানিত করেছে।
চলতি বছরে যোগ দিবসের মূল বিষয় ছিল, “নিজের এবং সমাজের জন্য যোগাসন।” দেশের নানা প্রান্তেই শুক্রবার যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এবং মূলত বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা। যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে গোটা বিশ্ব যোগাসন করছে।” সেনা জওয়ানেরা তরফে লাদাখের প্যাংগং হ্রদের ধারে এবং বরফে ঢাকা সীমান্তবর্তী এলাকায় সমবেত ভাবে যোগাসন করেন। আমেরিকার নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়্যারেও সমবেত ভাবে যোগাসন করতে দেখা যায় বহু মানুষকে। বিরোধী দল কংগ্রেস শুক্রবার সকালেই যোগ দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে। সেখানে অবশ্য দাবি করা হয়, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরুই যোগাসনের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।