Israel-Hamas Conflict

গাজ়ায় যুদ্ধের প্রতিবাদ, ওয়াশিংটনের ই‌জ়রায়েলি দূতাবাসের সামনে গায়ে আগুন, আমেরিকার সেনার

রবিবার দুপুরে ওয়াশিংটনের ই‌জ়রায়েলি দূতাবাসের সামনে আচমকাই এক ব্যক্তি গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। জানা যায়, তিনি আমেরিকার বিমানবাহিনীর এক সদস্য ছিলেন। এমনকি গাজ়ার যুদ্ধেও অংশ নিয়েছেন বলে খবর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:১৭
Share:

গাজ়ায় যুদ্ধের প্রতিবাদে ওয়াশিংটনের ই‌জ়রায়েলি দূতাবাসের সামনে গায়ে আগুন লাগিয়ে প্রতিবাদ সেনাকর্মীর। ছবি এএফপি।

গাজ়ায় চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রতিবাদে এ বার ওয়াশিংটনের ই‌জ়রায়েলি দূতাবাসের সামনে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিলেন আমেরিকারই এক সেনা। জলন্ত অবস্থাতেই তিনি চিৎকার করে বলতে শুরু করেন, ‘‘আমি আর গাজ়ায় ঘটে চলা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে চাই না।’’ চিৎকার করতে করতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা তাঁকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর।

Advertisement

সংবাদসংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে ওয়াশিংটনের ই‌জ়রায়েলি দূতাবাসের সামনে আচমকাই এক ব্যক্তি গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। জানা যায়, তিনি আমেরিকার বিমানবাহিনীর এক সদস্য ছিলেন। এমনকি গাজ়ার যুদ্ধেও অংশ নিয়েছেন বলে খবর। ওই আগুন লাগানোর ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, কী ভাবে ওই সেনা গায়ে আগুন লাগিয়েছেন। তিনি ‘মুক্ত প্যালেস্টাইন’-এর দাবি করতে থাকেন।

ই‌জ়রায়েলি দূতাবাসের সামনে পাহারায় থাকা তিন জন নিরাপত্তারক্ষী তৎক্ষণাৎ অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র এনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। তার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দূতাবাসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই ঘটনায় দূতাবাসের কোনও কর্মী আহত হননি। তবে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।

Advertisement

আমেরিকার বিমানবাহিনীর তরফে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল হামাস গোষ্ঠী। সে সময় শতাধিক ইজ়রায়েলি নাগরিককে পণবন্দি হিসাবে গাজ়ায় নিয়ে গিয়েছিল তারা। পরে কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের অনেককে মুক্তি দিলেও এখনও বন্দি শতাধিক। দু’পক্ষেরই হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে যেমন আছেন, সেনাবাহিনীর সদস্য, তেমনই আছেন সাধারণ নাগরিক।

অন্য দিকে, যুদ্ধ কবে থামবে সেই চিন্তায় ঘুম নেই প্যালেস্টাইনিদের। একই আশা ইজ়রায়েলের মানুষদেরও। শোনা যাচ্ছে, প্যারিসে এক গোপন বৈঠকে বহু দর কষাকষির পরে যুদ্ধ বিরতিতে নাকি সহমত হয়েছে দু’পক্ষ। তবে সেটা আদৌ বাস্তবায়িত হয় কিনা সেটাই দেখার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement