পিতা ও পুত্র। (বাঁ দিকে) জো বাইডেন এবং হান্টার বাইডেন (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
‘পিতৃস্নেহে’ প্রতিশ্রুতিভঙ্গ জো বাইডেনের! দুই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেও পুত্র হান্টার বাইডেনকে ক্ষমা করে দিলেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট হিসাবে হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে হান্টারের জেলে যাওয়ার সম্ভাবনাকে এ যাত্রায় রুখে দিলেন অশীতিপর পিতা।
ছেলেকে ক্ষমা করে দিয়ে চার বছর আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাইডেন ভঙ্গ করলেন বলে অনেকে দাবি করেছেন। ২০২০ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে বাইডেন জানিয়েছিলেন, তাঁর পরিবারের সদস্যেরা সুবিধা পায়, এমন কোনও সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন না। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসাবে ইস্তফা দেওয়ার মাসখানেক আগে কথার ‘খেলাপ’ করলেন তিনি।
পুত্র যে দু’টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, সে দু’টিকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন বাইডেন। তাঁর আরও দাবি, তাঁকে দুর্বল করতেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষেরা পুত্র হান্টারকে নিশানা করছেন। রবিবার হোয়াইট হাউসের তরফে এই বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেই বিবৃতিতে বাইডেন লিখেছেন, “আজ আমি পুত্র হান্টারকে ক্ষমা করে দিলাম। আমি যে দিন প্রেসিডেন্ট পদে বসেছিলাম, বলেছিলাম আমি বিচার দফতরের কোনও সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করব না। কিন্তু দেখলাম বেছে বেছে নিয়ন মা-মেনেই আমার পুত্রকে দোষী সাব্যস্ত করা হল।”
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে বাইডেনের পুত্রের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে ও তথ্য গোপন করে আগ্নেয়াস্ত্র কেনা এবং কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বেশ কয়েক বছর তদন্ত চলার পর তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আমেরিকার বিচার দফতর। এর ফলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল হান্টারের। রবিবার অবশ্য ছেলের হয়ে ব্যাট ধরেন বাইডেন। জানান, জরিমান এবং সুদ-সহ কর জমা দিলে শাস্তির মুখে পড়ার কথা নয়। কিন্তু কেবল তাঁর পুত্র বলেই হান্টারকে হেনস্থা করা হচ্ছে। এত সমালোচনার মধ্যে হান্টার শান্ত থেকেছেন বলেও দাবি করেন বাইডেন।
আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। অন্য অপরাধীদেরও বাইডেন ক্ষমা করে দেবেন কি না, এই প্রশ্ন তুলে বিদায়ী প্রেসিডেন্টকে খোঁচা দিয়েছেন তিনি।