কুয়েত বিমানবন্দরে আটকে ভারতীয় যাত্রীরা। ছবি: সংগৃহীত।
১৩ ঘণ্টার দুর্ভোগ শেষে ম্যাঞ্চেস্টারের উদ্দেশে রওনা দিলেন কুয়েত বিমানবন্দরে আটকে পড়া ভারতীয়েরা। সোমবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ গাল্ফ এয়ারের বিমান ব্রিটেনের ম্যাঞ্চেস্টার শহরের উদ্দেশে রওনা দেয়। গোটা প্রক্রিয়াটি যাতে মসৃণ ভাবে হয়, তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী ভূমিকায় দেখা যায় কুয়েতের ভারতীয় দূতাবাসকে।
রবিবার মুম্বই বিমানবন্দর থেকে ম্যাঞ্চেস্টারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল গাল্ফ এয়ারলাইন্সের বিমানটি। বিমানে থাকা যাত্রীদের প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন ভারতীয়। তা ছাড়া আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ অন্য কিছু দেশের যাত্রীরাও ছিলেন। যাত্রাপথে ওই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। অনেকের দাবি, বিমানের ইঞ্জিনে আগুন ধরে গিয়েছিল। ফলে কুয়েত বিমানবন্দরে ওই বিমানটি জরুরি অবতরণ করে। তার পরই বিপদে পড়েন ওই বিমানে থাকা ভারতীয় যাত্রীরা! অভিযোগ, তাঁরা বৈষম্যের শিকার। ব্রিটেন, আমেরিকার যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলেও ভারতীয়দের বিমানবন্দরেই রেখে দেওয়া হয়। এমনকি তাঁদের পানীয় জলটুকুও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। শিশু এবং বয়স্কদের জন্য কম্বলও দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, কুয়েতে ভারতীয় নাগরিকেরা ‘ভিসা অন অ্যারাইভাল’ বা সে দেশে পা দিয়েই ভিসা পাওয়ার দাবিদার হওয়ার সুযোগ পান না। এই কারণেও ভারতীয় যাত্রীদের হেনস্থার মুখে পড়তে হয় বলে মনে করছেন অনেকে।
তবে ভারতীয় যাত্রীদের আটকে পড়ার খবর পেয়েই বিমানবন্দরে যান কুয়েতের ভারতীয় দূতাবাসের কয়েক জন আধিকারিক। তাঁরা যাত্রীদের জন্য খাবার এবং পানীয় জলের বন্দোবস্ত করেন। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে সমাজমাধ্যমে জানানো হয়, কুয়েতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলার কারণে বিমানবন্দর সংলগ্ন হোটেলগুলি ফাঁকা পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে আটকে পড়া যাত্রীদের বিমানবন্দরেরই দু’টি লাউঞ্জে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, প্রথমে তাঁদের লাউঞ্জে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।