US Government Employees

তাঁর উপস্থিতিতেই মাস্কের সঙ্গে বাদানুবাদ বিদেশসচিব রুবিওর! কী জবাব দিলেন ট্রাম্প?

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই ট্রাম্প যে দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক দফতরের (ডিওজিই) মাথায় ধনকুবের মাস্ককে বসিয়েছেন, তার কার্যকলাপ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে আমেরিকায়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৫ ০৯:২৪
Share:
(বাঁদিক থেকে) ইলন মাস্ক, মার্কো রুবিও এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প।

(বাঁদিক থেকে) ইলন মাস্ক, মার্কো রুবিও এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

আবার বাদানুবাদ-বিতর্কে হোয়াইট হাউস! বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতেই তাঁর উপদেষ্টা ইলন মাস্কের সঙ্গে আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর তুমুল বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি খবরে দাবি।

Advertisement

সরকারি কর্মীদের উপর মাস্কের ‘খবরদারি’ নিয়ে ওই বৈঠকে রুবিও সরাসরি আপত্তি জানান। অন্য কয়েক জন আধিকারিকও তাতে সায় দেন। এর পরেই তর্ক বেধে যায় বলে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে। যদিও শুক্রবার রাতে ট্রাম্প দাবি করেন, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, ‘‘আমি সেখানে ছিলাম। কোনও বাদানুবাদ হয়নি। মাস্ক এবং রুবিও দু’জনেই খুব দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।’’

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই ট্রাম্প যে দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক দফতরের (ডিওজিই) মাথায় ধনকুবের মাস্ককে বসিয়েছেন, তার কার্যকলাপ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে আমেরিকায়। ফেব্রুয়ারির শেষ পর্বে মাস্ক আমেরিকার ২৩ লক্ষ সরকারি কর্মচারীকে ইমেল করে বলেছিলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের জানাতে হবে গত সপ্তাহে তাঁরা ঠিক কী কী কাজ করেছেন। মেলের উত্তর না দিলে ধরে নেওয়া হবে সেই সরকারি কর্মী চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে ইচ্ছুক।

Advertisement

এর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসাবে ওই ইমেল পাঠানোর সাংবিধানিক এক্তিয়ার মাস্কের নেই বলে অভিযোগ ওঠে। আমেরিকার সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন দফতর হিসেবে কাজ করে ‘অফিস অফ পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট’ (ওপিএম)। তাদের এড়িয়ে কী ভাবে মাস্ক সরাসরি সরকারি কর্মীদের ইমেল পাঠিয়ে বরখাস্ত করার হুমকি দিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রুবিও। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে তারই আঁচ পড়ে।

প্রকাশিত খবরে দাবি, ওই বৈঠকে রুবিওর প্রশ্নের মুখে পড়ে মাস্ক বিদেশ দফতরের ‘বাড়তি খরচের’ প্রসঙ্গ তোলেন। সেই সঙ্গে দাবি করেন, প্রথম ৪৫ দিনে ট্রাম্প সরকার বিদেশ দফতরের কোনও কর্মীকে বরখাস্ত করেনি। সেই দাবি খারিজ করে রুবিও জানান, ইতিমধ্যেই তাঁর দফতরের প্রায় দেড় হাজার কর্মী আগাম অবসরের আবেদন করেছেন! তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও ছাঁটাই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন! সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘তবে কুড়ুল নয়, আমরা স্ক্যালপেল (অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত ছুরি) ব্যবহার করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement