মহম্মদ মুইজ্জু। —ফাইল চিত্র।
প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর আমলে ভারত এবং মলদ্বীপের সম্পর্ক ফের আলোচনার কেন্দ্রে চলে এল। নেপথ্যে আমেরিকার সংবাদপত্র ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর একটি প্রতিবেদন। সেখানে দাবি করা হয়েছে, চলতি বছরের গোড়ায় মুইজ্জুকে ‘ইমপিচ’ (পদ থেকে সরানো) করার জন্য ভারতের সাহায্য চেয়েছিল মলদ্বীপের বিরোধী দল মলদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি)। নয়াদিল্লির কাছ থেকে নাকি ৬ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকারও বেশি) চাওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত মুইজ্জুকে সরানোর পরিকল্পনা কার্যকর করা যায়নি বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, মুইজ্জুকে পদচ্যুত করতে মলদ্বীপের পার্লামেন্টের ৪০ জন সদস্যকে ঘুষ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। এই ৪০ জনের মধ্যে মুইজ্জুর নিজের দল (পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস)-এর সদস্যেরাও ছিলেন। কিন্তু মুইজ্জুকে সরানোর জন্য যথেষ্ট সংখ্যক ভোট সুনিশ্চিত করা যায়নি বলে দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে এ-ও বলা হয়েছে, মুইজ্জুকে সরানোর পরিকল্পনা নিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে আলোচনা হয় মলদ্বীপের বিরোধী দলের নেতাদের। তবে ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রতিবেদনে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা বিরোধী দলের প্রধান মহম্মদ নাসিদ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “এই ধরনের পরিকল্পনার কথা আমার জানা নেই। ভারত কখনও এই ধরনের পদক্ষেপকে সমর্থন করবে না। কারণ তারা মলদ্বীপের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমর্থন করে।’’ এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে নয়াদিল্লির তরফে কিছু জানানো হয়নি।