মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নিতে হতে পারে ট্রাম্পকে। —ফাইল চিত্র।
হোয়াইট হাউসে তাঁর মেয়াদ আর মাত্র ১০ দিন। তার আগে ফের ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করতে উদ্যত হল ডোমোক্র্যাট শিবির। সোমবার এ নিয়ে ভোটগ্রহণ হবে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ। এই মুহূর্তে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ ডেমোক্র্যাটরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই সেখানে তাঁদের বাধার মুখে পড়তে হবে না বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
তবে ২০ জানুয়ারি জো বাইডেনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত সেনেটে রিপাবলিকানরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। ক্যাপিটলে হামলার পর প্রকাশ্যে বহু রিপাবলিকান যদিও বা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, কিন্তু তাঁকে ইমপিচ করার প্রস্তাবে তাঁরা সায় দেবেন কি না, তা নিয়ে নিশ্চয়তা নেই একেবারেই। ১০০ সদস্যের সেনেটে বিদায়ী প্রেসিডেন্টকে ইমপিচট করার জন্য অন্তত দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন।
ভোটাভুটির কথা জানিয়ে রবিবার বিকেলে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর সব সদস্যের কাছে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির চিঠি পৌঁছেছে। তাতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদের যোগ্য নন, এই দাবি তুলে তাঁকে ইমপিচ করার প্রক্রিয়া শুরু করবেন তাঁরা। এ ব্যাপারে প্রথমে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে তিনি রাজি না হলে, মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব এনে ভোটাভুটির মাধ্যমে এগনো হবে।
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
আরও পড়ুন: ভোটরেল! মোদীর নির্দেশ কলকাতার বিভিন্ন মেট্রো প্রকল্প নিয়ে
আরও পড়ুন: শোভন-বৈশাখী অবশেষে বিজেপি দফতরে, স্বাগত জানাতে একা শঙ্কু
বিতর্কিত অভিবাসী নীতি থেকে মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল নির্মাণ, শুরু থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে নানা বিষয়ে দ্বন্দ্ব বেধেছে ন্যান্সির। ক্যাপিটলে হামলার দিন ট্রাম্প সমর্থকদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি তাঁর অফিসও। সেখানে ঢুকে কাগজপত্র তছনছ করে দেয় তাণ্ডবকারীরা। এমনকি তাঁর ডেস্ক থেকে গুরুত্বপূর্ণ চিঠিপত্রও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরেও ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ ট্রাম্পকে ইমপিচ করা হয়। সেইসময় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের উপর চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ ছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। কিন্তু হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ইমপিচ করলেও, রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সেনেটে রক্ষা পান ট্রাম্প।