ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শরণার্থী ঠেকাতে দেওয়াল, আর বৈধ অভিবাসীর সংখ্যা কমাতে কড়া আইন চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৫ অক্টোবর থেকে যে আইন কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, তাতে বলা হয়েছিল— ‘পাবলিক চার্জ’ হিসেবে পরিচিত সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিলে আর গ্রিন কার্ড পাওয়া যাবে না। নিউ ইয়র্কের ফেডারেল আদালত গত কাল তা সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করল। ট্রাম্প প্রশাসনকে সরাসরি একহাত নিয়ে বিচারপতি বললেন, ‘‘এই আইন আমেরিকার স্বপ্নের সঙ্গে একেবারেই বেমানান।’’
ফুড স্ট্যাম্প, স্বাস্থ্য পরিবেষা ও আবাসনের সুবিধা নেওয়া যাবে না— প্রস্তাবিত এই আইন ঘিরে গত অগস্ট থেকেই উদ্বেগ ছড়াচ্ছিল অভিবাসীদের মধ্যে। আদালতের রায়কে তাই নিজেদের জয় হিসেবেই দেখছে অভিবাসী অধিকার আন্দোলন নিয়ে কর্মরত সংগঠনগুলি। মামলার
রায় দিতে গিয়ে ফেডারেল বিচারক জর্জ ড্যানিয়েলস বলেন, ‘‘দীর্ঘদিনের একটা আইনকে নতুন কাঠামো দিয়ে কেন হঠাৎ বদলে ফেলা হচ্ছে, তার কোনও যুক্তিযুক্ত কারণ দেখায়নি প্রশাসন। এমন আইন চালু হলে,
উন্নত জীবনের আশায় এ দেশে এসে যাঁরা আইন মেনে চলছেন, তাঁদের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’’ এই আইনের জেরে অভিবাসীদের মধ্যে অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। কোর্টের রায়কে হতাশাব্যঞ্জক বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।