ফাইল চিত্র
ভারত-সহ বিশ্বের কয়েকটি দেশ কোভিডের প্রথম টিকা ও দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার সময়ের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়েছে। যদিও অনেকে এই সিদ্ধান্তের পিছনে টিকার জোগান না থাকাকেই দায়ী করেছেন। এমনই এক সময় একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রকাশ্যে এল, যেখানে দাবি করা হচ্ছে, প্রথম এবং দ্বিতীয় টিকার মধ্যে সময় ব্যবধান বাড়লে বাড়ে অ্যান্টিবডি। ওই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, দ্বিতীয় টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি শরীরের প্রতিরক্ষামূলক শক্তি বাড়বে। ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দ্বিতীয় টিকা দেরিতে নিলে অ্যান্ডিবডির পরিমাণ ২০% থেকে ৩০০% বেশি থাকে। আমেরিকার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটারি এবং ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণাপত্রটি এখনও ‘পিয়ার রিভিউ’-এর পর্যায়ে রয়েছে।
করোনা টিকা কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে সম্প্রতি দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রাথমিক ভাবে প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। পরবর্তীকালে তা বাড়িয়ে ৬-৮ সপ্তাহ করা হয়। তবে নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রথম ডোজ নেওয়ার ১২-১৬ সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।
মায়ো ক্লিনিকের ভ্যাকসিন রিসার্চ গ্রুপের ভাইরাোলজিস্ট এবং ডিরেক্টর গ্রেগরি পোল্যান্ড বলেছেন, ‘‘আমি যদি পারতাম তবে আমি এই মুহূর্তে দ্বিতীয় টিকা নেওয়া বন্ধ করে দিতাম। আমরা যতটা পারি প্রত্যেককে একটি করে টিকা আগে দিই। আমরা পরে দ্বিতীয় টিকা পেয়ে যাব।’’ ২০২০ সালের শেষে যখন কোভিডের টিকা প্রথম আসে তখন দু’টি টিকার মাঝে ব্যবধান রাখার কার্যকারিতার বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারপরে, বেশির ভাগ দেশ তাদের সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের টিকা দিয়েছিল। যদিও দ্বিতীয় টিকার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল। তবে ব্র্রিটেনই সর্বপ্রথম দু’টি টিকা নেওয়ার ব্যবধান বাড়িয়েছিল। এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রথমে সমালোচনা হয়েছিল। কিন্তু এখন তা প্রমাণিত হয়েছে।