বালির বস্তা দিয়ে ঘেরা পরিখার পিছনে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাস নিচ্ছেন ইউক্রেনীয় সেনা।
উল্টো দিক থেকে ক্রমাগত চলছে রুশ সেনার গোলাবর্ষণ। তার মধ্যেই বালির বস্তা দিয়ে ঘেরা পরিখার পিছনে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাস নিচ্ছেন এক ইউক্রেনীয় সেনা। রাইফেল কাঁধ থেকে নামানো। এক হাতে খাতা-পেন। আর অন্য হাতে মোবাইল ফোন। যা দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তিনি। গত শুক্রবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ৭২তম দিনে এমনই এক ছবি ছড়িয়ে পড়ল নেটমাধ্যমে।
খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, ওই সেনাকর্মীর নাম ফেদির শ্যান্ডর। আদতে পেশায় অধ্যাপক তিনি। অধ্যাপনা করেন ইউক্রেনের উজহোরড ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ওই দিনই সেনায় নাম লিখিয়েছিলেন শ্যান্ডর। তার পর থেকে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রেই রয়েছেন। শ্যান্ডর বলেন, ‘‘গত ৭০ দিন ধরে যুদ্ধ করছি আমি।’’ এই যুদ্ধের মধ্যেও পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাস নেওয়ার সময় ঠিক করে নিয়েছেন শ্যান্ডর। প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও মঙ্গলবার সকাল ৮টা। গত ৭০ দিনে এক বারের জন্যেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। শ্যান্ডর বলেন, ‘‘ছেলেমেয়েদের পড়ানোর মতো পবিত্র কাজ আর হয় না। ওটা বাদ দিতে পারব না।’’ ইউক্রেনের কোন প্রান্তে যুদ্ধে গিয়েছেন শ্যান্ডর, তা অবশ্য প্রকাশ্যে আনেনি উজহোরড ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। শুধু জানানো হয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের কোনও এক প্রান্তে।