কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে শরিফকে শুভেচ্ছা জানাননি বলেই দাবি আফ্রিদির। তিনি বলেন, “বিশ্বের দরবারে যদি সম্মান আদায় করতে হয় আমাদের দেশকে, তা হলে যে সরকার ক্ষমতায় রয়েছে তাকে সম্মান জানানো উচিত।”
—ফাইল চিত্র
শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন শাহিদ আফ্রিদি। ইমরান খানকে সরিয়ে শরিফ প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় খুশি পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক? তৈরি হয় বিতর্ক। আফ্রিদির শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর সমালোচনা করতে শুরু করেন ইমরান সমর্থকরা। সেই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর কারণ জানালেন আফ্রিদি।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আফ্রিদি বলেন, “ক্রিকেটে ইমরান খান সব সময় আমার আদর্শ। ওর জন্যই আমার ক্রিকেট কেরিয়ারের শুরু। ইমরান না থাকলে আমি কী করতাম জানি না। ১৯৯২ সালে আমরা এক সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলেছিলাম। ওর সব ভাল কাজের প্রশংসা করেছি আমি। বিশ্বাস করি ওর সরকারের সময় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি একটা সরকারের পাঁচ বছর সময় প্রয়োজন নিজেদের কাজ করে দেখানোর জন্য।”
আফ্রিদি জানিয়েছেন তিনি ইমরানকে নেতা হিসেবেই দেখেন। আফ্রিদি বলেন, “আমি নেতা হিসেবেই দেখি ইমরানকে। তবে ওর কাজের সমালোচনা করার অধিকার আমার আছে। বিরুদ্ধ মতামত হলে সেটাকে ঘৃণা হিসেবে দেখা উচিত নয়।”
কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে শরিফকে শুভেচ্ছা জানাননি বলেই দাবি আফ্রিদির। তিনি বলেন, “বিশ্বের দরবারে যদি সম্মান আদায় করতে হয় আমাদের দেশকে, তা হলে যে সরকার ক্ষমতায় রয়েছে তাকে সম্মান জানানো উচিত।”
ইমরানের ডাকে জলসায় গিয়েছিলেন আফ্রিদি। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ইমরান আমাকে ডেকেছিল তাই গিয়েছিলাম। আমি শাহবাজ শরিফকে প্রথম থেকেই শ্রদ্ধা করি। ওঁর মতো দক্ষ লোক পাকিস্তানে আর এক জনও নেই। আর আমি তো ইজরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাইনি। আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছি। শাহবাজ শরিফের বদলে অন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁকেও শুভেচ্ছা জানাতাম। ইমরানকেও আমি অনেক দিন ধরে চিনি। ১৯৮৯ সালে স্বপ্নে দেখেছিলাম ওকে। ক্ষমতায় আসার সময় আমি ওকে সমর্থন করেছিলাম।”
ইমরানের সমর্থক হলেও তাঁর ভুলগুলি তুলে ধরেন আফ্রিদি। তিনি বলেন, “ইমরানের জন্যই ২০১৩ সালে ভোট দিতে পেরেছিলাম। কিন্তু ইমরানের অনেক ভুল ছিল যেগুলো ওর স্বীকার করা উচিত। সেগুলো স্বীকার করলেই ওর দল অনেক ভাল দল হিসেবে ফিরে আসবে। কারণ আছে বলেই ঈশ্বর দেন আবার ফিরিয়েও নেন। ইমরানকে ঈশ্বর অনেক দিয়েছে আবার নিয়েও নিয়েছে।”
তবে আফ্রিদি মনে করেন ইমরানের সংসদ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া উচিত হয়নি। তিনি বলেন, “ইমরানের কিছু ভাবনা আছে। সেগুলো কার্যকর করার জন্য লোক প্রয়োজন। আমি বিশ্বাস করি ইমরানের ময়দান ছেড়ে যাওয়া উচিত নয়। সংসদ ওর মাঠ। আবার রাস্তা থেকে শুরু করার কী কারণ?”