মায়ের সঙ্গে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই রুশ সেনা। ছবি: টুইটার
ধরে ফেলার পর খেতে দেওয়া হয়েছে বার্গার জাতীয় খাবার। সঙ্গে দেওয়া হয়েছে চা-ও। ইউক্রেনবাসীর আতিথেয়তা পেয়ে আবেগে ভাসলেন আক্রমণকারী রুশ বাহিনীর এক সেনাসদস্য। এই নিয়ে একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে, ধরা পড়া রুশ সেনাকে ঘিরে আছেন একদল ইউক্রেনবাসী। ইউক্রেনীয় ভাষায় চাপা স্বরে কেউ কেউ বলছেন, ‘‘জানিনা রাশিয়ার সেনারা কেনও এই দেশে আক্রমণ করল।’’ আবার কেউ কেউ বলছেন, ‘‘এই সেনাদের খুবই কম বয়স। এতে ওঁদের কোনও দোষ নেই। ওরা নিজেরাও জানেন না ওরা কেনও এই দেশে এসেছে।’’
এর পর ধরা পড়া সেনাকে তাঁর মায়ের সঙ্গে ভিডিয়ো কল করার সুযোগও করে দেন জনগণ। এর পরই মায়ের সঙ্গে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই রুশ সেনা। উপস্থিত জনগণের মধ্যে একজন, ছেলে ভাল আছে বলে তাঁর মাকে আশ্বস্তও করেন।
রুশ সেনারা নিজেরাই নিজেদের অস্ত্র এবং সেনা গাড়ি নষ্ট করে আত্মসমর্পণ করছে বলে দু’দিন ধরে জল্পনা উঠেছিল। আর তার মধ্যেই এই ভিডিয়োটি সামনে উঠে এল। তবে এই ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইউক্রেনবাসীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন নেটাগরিকরা।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কিভের উপর মস্কোর আগ্রাসন অষ্টম দিনে পা দিল। তবে এখনও অবধি ইউক্রেন নিয়ে নিজেদের চিন্তাভাবনার স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ করেনি ক্রেমলিন। যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইউক্রেনকে আমেরিকা-সহ বিভিন্ন নেটো দেশ নিজেদের ‘বন্ধু’ দাবি করে অস্ত্র এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের জোগান দেওয়ার আশ্বাস দিলেও রাশিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সঙ্ঘাতে জড়াবে না বলেই স্পষ্ট করেছে।
পাশাপাশি সরাসরি সাহায্য করলে রাশিয়ার রোষে পড়বে ভেবেও পিছিয়েছে অনেক দেশ। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলনস্কি নিজেও সেনার সাজ গায়ে তুলেছেন। বন্দুক নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। তবুও শেষরক্ষা হবে কি না এ নিয়ে ধন্দে রয়েছে সারা বিশ্ব।