নেটমাধ্যমে একাধিক রাশিয়ান মা অভিযোগ করেন, ইউক্রেনে বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তাঁদের সন্তাদের আর কোনও খবর পাচ্ছেন না তাঁরা। এর পরই ওই ভিডিয়ো বার্তা দেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘‘খোঁজ নিন, কোথায় আপনাদের সন্তানরা রয়েছেন। যদি বিন্দুমাত্র সন্দেহ হয় ইউক্রেনে যুদ্ধে পাঠানো হয়েছে, তবে তাঁদের মৃত্যু অথবা আটক হওয়া আটকাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন।’’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ফাইল চিত্র।
ছেলেদের যুদ্ধে না পাঠাতে রাশিয়ার মায়েদের অনুরোধ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এক ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘রাশিয়ার মায়েদের অনুরোধ করেছি, ছেলেদের ভিন দেশে যুদ্ধে পাঠাবেন না।’’
প্রসঙ্গত নেটমাধ্যমে একাধিক রাশিয়ান মা অভিযোগ করেন, ইউক্রেনে বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তাঁদের সন্তাদের আর কোনও খবর পাচ্ছেন না তাঁরা। এর পরই ওই ভিডিয়ো বার্তা দেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘‘খোঁজ নিন, কোথায় আপনাদের সন্তানরা রয়েছেন। যদি বিন্দুমাত্র সন্দেহ হয় ইউক্রেনে যুদ্ধে পাঠানো হয়েছে, তবে তাঁদের মৃত্যু অথবা আটক হওয়া আটকাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এই ভয়াবহ যুদ্ধ ইউক্রেন কোনও দিন চায়নি। কিন্তু যুদ্ধ যখন হচ্ছে, তখন আমাদের তো আত্মরক্ষা করতেই হবে।’’
বুধবারই রাশিয়া প্রথম স্বীকার করে যুদ্ধের প্রয়োজনে নতুন করে সেনা নিয়োগ করা হয়েছে এবং তাঁদের মধ্যে অনেকেই বন্দি হয়েছেন। প্রসঙ্গত, মস্কো এর আগে দাবি করেছিল শুধুমাত্র পেশাদার সৈন্যরাই ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা দফতর গত সপ্তাহেই বলে, তাদের দেশে বন্দি রাশিয়ান সৈন্যদের মায়েরা যেন তাঁদের সন্তানদের নিয়ে যান। এই সংক্রান্ত তথ্য পেতে ইউক্রেনের তরফে ফোন নম্বর এবং একটি ইমেল ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে মায়েরা তাঁদের সন্তানদের সম্পর্কে তথ্য পেতে পারেন।
এর আগে ইউক্রেন দাবি করে, কিভ দখল করতে সীমান্তে বিপুল সেনা সমাবেশ করেছে রাশিয়া। তবে নিজেদের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী জেলেনস্কি শনিবার বলেন, ইউক্রেন এখন মোড় ঘোরানোর মুহূর্তে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রাণহানির আশঙ্কায় কিভের নাগরিকদের আগে থেকেই সুরক্ষিত জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।