(বাঁ দিকে) অল্লু অর্জুন এবং রবিবার অল্লুর বাড়িতে হামলার দৃশ্য (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
অভিনেতা অল্লু অর্জুনের বাড়িতে হামলায় অভিযুক্তেরা নিজেদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। এ বার পুলিশও জানাল, অভিযুক্তেরা প্রত্যেকেই ছাত্র। তাঁদের মধ্যে কেউ পিএইচডি করেছেন, কেউ আবার স্নাতকোত্তর। আবার কেউ অন্য কোনও বিষয়ে পাঠরত। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃতদের মধ্যে দু’জন পিএইচডি এবং দু’জন স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়া। পুলিশি রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভিযুক্তেরা জোর করে অল্লুর বাড়ির চৌহদ্দির ভিতরে প্রবেশ করেছিলেন। বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীদেরও তাঁরা মারধর করেছিলেন বলে রিপোর্টে জানিয়েছে পুলিশ।
হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে গত ৪ ডিসেম্বর ‘পুষ্পা ২’-এর প্রিমিয়ারে দুর্ঘটনা ঘটে। ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। আহত হয় তাঁর আট বছরের সন্তানও। মঙ্গলবার ওই বালকের জ্ঞান ফিরলেও এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে। এরই মধ্যে গত সোমবার অল্লুর বাড়িতে হামলা চালান এক দল উন্মত্ত জনতা। ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে অবশ্য তাঁরা জামিন পেয়ে যান।
বিক্ষোভকারীরা ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিয়েছিলেন। অভিযোগ, তাঁরা অভিনেতার বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হন এবং তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। মৃত মহিলার পরিবারের জন্য এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তাঁরা। এর পর দরজার বাইরে থেকেই অল্লুর বাড়ির দিকে ছোড়া হতে থাকে একের পর এক টম্যাটো। বাড়ির সামনে থেকে ফুলের টবগুলি তুলে মাটিতে আছাড় মেরে তা ভাঙা হয়। ঘটনার সময়ে অল্লু বাড়িতে ছিলেন না বলেই খবর।
এই আবহে বৃহস্পতিবার তেলুগু সিনেমা জগতের অভিনেতা, পরিচালক এবং প্রযোজকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। বৈঠকে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে কোনও রকম আপস করা হবে না। একই সঙ্গে তিনি অভিনেতাদের মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা শুধু পুলিশের একার কাজ নয়, ভক্তদের সামলানোর দায়িত্ব বর্তায় তাঁদের উপরও।