প্রায় ৩০ মিনিট কথা হয় বাইডেন ও জেলেনস্কির। ছবি সৌজন্য: রয়টার্স
আমেরিকার কাছে প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিরোধী জোটে সহায়তার আশ্বাস পেল ইউক্রেন। রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকা যে সরাসরি যুদ্ধে যাবে না, তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অন্য দিকে পশ্চিমের অন্যান্য দেশকেও তারা পাশে পাননি বলে নিজেই জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি। এই প্রেক্ষিতে শুক্রবার প্রায় আধ ঘণ্টা বাইডেনের সঙ্গে কথা বললেন তিনি। একটি বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘‘আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহায়তা এবং একটি যুদ্ধবিরোধী জোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’ অন্য দিকে, হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়, এই টেলিফোন কথোপকথনে বাইডেনকে ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তার মধ্যে ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষায় সহায়তার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন বাইডেন।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের তীব্র নিন্দা করলেও যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিতে চায় না আমেরিকা। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। প্রথম কারণ অবশ্যই অর্থনীতি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই যুদ্ধে অংশ নিলে অতিমারিতে বিধ্বস্ত অর্থনীতি আরও টাল খাবে। তা ছাড়া, আমেরিকার কোনও সীমানা ইউক্রেনে নেই। জেলেনস্কির দেশের সঙ্গে যে বড় ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে আমেরিকার, এমনটাও নয়। তা ছাড়াও, আমেরিকা কূটনীতিকদের ব্যাখ্যা, রাশিয়া ও আমেরিকার মতো দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র যুদ্ধে লিপ্ত হলে তার ফল আখেরে সারা বিশ্বের পক্ষেই ক্ষতিকর হবে।
অন্য দিকে, নেটো-র প্রধান জেনস স্টোলটেনবার্গ একটি বিবৃতিতে বলেন, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা শুধু জেলেনস্কির দেশ নয়, ইউরোপের পক্ষেও অশুভকর। তিনি বলেন, ‘‘ইউক্রেনের নিরপরাধ মানুষের উপর রাশিয়ার এই আক্রমণ ধ্বংসাত্মক এবং ভয়ঙ্কর। পুরো ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর আক্রমণ। এই কারণেই আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছি। তার পর ইউক্রেন সেনা বাহিনীর সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। তবে ইউক্রেনকে যুদ্ধে সাহায্যের ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি নেটো প্রধান।