Delhi Assembly Election 2025

দিল্লির ভোটার তালিকা প্রকাশ, তরজাও চলছে

গত বছর ২৯ অক্টোবর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিল দিল্লি নির্বাচন কমিশন। তার পর থেকেই বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে আপ সমর্থকদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন করে চলেছে বলে সরব হয় অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:০১
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রাজধানীর ভোটার তালিকা আজ প্রকাশ করল দিল্লি নির্বাচন কমিশন। খসড়া তালিকার তুলনায় চূড়ান্ত তালিকায় ভোটার বেড়েছে ১.০৯%। তালিকা প্রকাশ হতেই আজ পারস্পরিক দোষারোপে নেমে পড়ে বিজেপি ও শাসক আম আদমি পার্টি। রাজনৈতিক দলগুলি মনে করছে, আগামী এক-দু’দিনের মধ্যে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেবে নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

গত বছর ২৯ অক্টোবর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিল দিল্লি নির্বাচন কমিশন। তার পর থেকেই বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে আপ সমর্থকদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন করে চলেছে বলে সরব হয় অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল। অভিযোগ ওঠে, আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহের স্ত্রীর নাম নয়াদিল্লি কেন্দ্রের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য একাধিক বার আবেদন জমা পড়ে। কারা ওই আবেদন জানিয়েছিল তাদের নাম জানতে চেয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হন আপ নেতারা। যদিও নাম জানায়নি কমিশন। অন্য দিকে, বিজেপির অভিযোগ, ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া আপ নেতৃত্ব পরিকল্পিত ভাবে দিল্লিতে অবৈধ ভাবে বসবাস করে চলা বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

পরিসংখ্যান বলছে, আসন্ন নির্বাচনে ১,৫৫,২৪,৮৫৮ জন ভোটার দিল্লির সরকারকে বেছে নিতে চলেছেন। খসড়া তালিকার তুলনায় চূড়ান্ত তালিকায় নতুন নাম সংযোজিত হয়েছে ৩,০৮,৯৪২টি এবং নাম বাদ পড়েছে ১,৪১,৬১৩ জনের। সব মিলিয়ে খসড়ার তুলনায় চূড়ান্ত তালিকায় ১,৬৭,৩২৯ জনের নাম বাড়তি যোগ হয়েছে।

Advertisement

আজ তালিকা প্রকাশিত হতেই অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আসন, নয়াদিল্লি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় কারচুপি হয়েছে বলে সরব হন আপ নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রী অতিশী সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেন, ‘‘গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি, এই সময়ের মধ্যে কেবল নয়াদিল্লি কেন্দ্রে ১০,৫০০টি নতুন নাম জোড়ার আবেদন জমা পড়ে। যা ওই কেন্দ্রের মোট ভোটারের প্রায় ১০%। ৬,১৬৭ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার আবেদনও জমা পড়ে। যা মোট ভোটারদের সাড়ে পাঁচ শতাংশ। অথচ যাদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন গিয়েছে, তাঁদের অনেকেই ওই কেন্দ্রে ৪০-৫০ বছর রয়েছেন। নতুন আবেদন ও বাতিলের আবেদন, উভয় ক্ষেত্রেই বিজেপির সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। দেখা গিয়েছে অধিকাংশ আবেদনই ভুয়ো।’’ অতিশীর অভিযোগ, ‘‘বাতিলের আবেদনের মধ্যে ৪,২৮৩টি আবেদন করেছেন মাত্র ৮৪ জন। কমিশনের দেখা উচিত, কী স্বার্থ রয়েছে তাঁদের!’’

আপ নেতৃত্বের দাবি, তালিকায় যাদের নাম নতুন উঠেছে, তাঁদের বাড়ি গিয়ে খতিয়ে দেখার আবেদন জানানো হয়েছে। আপের অভিযোগ উড়িয়ে দিল্লি বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবের দাবি, ‘‘কেজরীওয়াল নয়াদিল্লি কেন্দ্র থেকে হারছেন, তা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট। তাই এখন থেকেই গল্প ফাঁদা হচ্ছে। আসলে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নাম তালিকাভুক্ত করার যে পরিকল্পনা আপ নেতৃত্ব নিয়েছিলেন, তা বিজেপি ভেস্তে দেওয়ায় ওঁরা সমস্যা পড়েছেন। বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ভোটারেরা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের নাম তালিকায় রেখে দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচনী কর্মীদের
উপর প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে সঞ্জয় সিংহের মতো
সাংসদদের বিরুদ্ধে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement