ইউক্রেনের রাজধানী কিভ থেকে ১০৮ কিলোমিটার দূরে চেরনোবিল। এখানেই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটেছিল ১৯৮৬ সালে। যার জেরে ইউক্রেন এবং প্রতিবেশী দেশ বেলারুশেও তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই তেজস্ক্রিয়তার সরাসরি এবং পরোক্ষ প্রভাবে মৃত্যু হয়েছিল কয়েক হাজার মানুষের।
চেরনোবিল। ছবি: রয়টার্স।
ইউক্রেনে হামলা চালাতে চেরনোবিলের মতো একটা বিপজ্জনক এবং নিষ্ক্রিয় জায়গাকেই কেন বেছে নিল রাশিয়া? উত্তর হল ভৌগোলিক অবস্থান।
ইউক্রেনের রাজধানী কিভ থেকে ১০৮ কিলোমিটার দূরে চেরনোবিল। এখানেই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটেছিল ১৯৮৬ সালে। যার জেরে ইউক্রেন এবং প্রতিবেশী দেশ বেলারুশেও তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই তেজস্ক্রিয়তার সরাসরি এবং পরোক্ষ প্রভাবে মৃত্যু হয়েছিল কয়েক হাজার মানুষের। যা বিশ্বে অন্যতম কুখ্যাত ঘটনা হিসেবে এখনও পরিচিত।
সেই ঘটনার পর চার দশকের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। চেরনোবিলে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা খানিক কমলেও পরমাণু কেন্দ্রটি নিষ্ক্রিয় অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। তবে এখনও মাইলের পর মাইল এলাকা বিপজ্জনক বলেই চিহ্নিত। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যখন টানাপড়েন বাড়তে শুরু করেছিল, যখন ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠছিল, তখন থেকেই চেরনোবিলকে নিজেদের কব্জায় নেওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছিল রাশিয়া।
কিন্তু চেরনোবিলের মতো এমন একটা জায়গাকে কেন বাছতে গেল রাশিয়া?
সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেনে ঢুকতে গেলে চেরনোবিলকে কব্জা করাই ছিল তাদের কাছে সহজ রাস্তা। কেননা, চেরনোবিল থেকে বেলারুশের দূরত্ব বেশি নয়। ইউক্রেনের রাজধানী কিভ দখল করতে গেলে চেরনোবিলকে আগে কব্জা করা প্রয়োজন ছিল। কারণ রাশিয়া চাইছিল দ্রুত হামলা। আর সেটার জন্য বেলারুশ থেকে কম দূরত্বের রাস্তা চেরনোবিল। রাশিয়ার শরিক দেশ বেলারুশ। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার ঝামেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই বেলারুশে রুশ সেনাদের মোতায়েন করা হচ্ছিল। যাতে যুদ্ধ লাগলেই সেখান থেকে প্রথমে চেরনোবিল কব্জা করা যায়। এবং সেখান থেকে কিভ দখল করা শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই পরিকল্পনা করেই এগিয়েছে রাশিয়া। চেরনোবিল দখল করেছে। ইতিমধ্যেই কিভের আশপাশে পৌঁছে গিয়েছে রুশ সেনারা।