Volodymyr Zelenskyy

‘শুরু থেকে সহ্য করছি, শীতটাও সহ্য করে নেব’, ‘জঙ্গি রাষ্ট্র’ রাশিয়াকে বিঁধলেন জ়েলেনস্কি

প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি বলেন, ‘‘স্বাধীনতার জন্য প্রচুর মূল্য চোকাতে হয়। কিন্তু মনে রাখবেন, ভৃত্যবৃত্তির খরচ আরও বেশি।’’ বার্তায় রাশিয়াকে ‘জঙ্গি রাষ্ট্র’ বলে অভিহিত করেন জ়েলেনস্কি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কিভ শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:১৮
Share:

— ফাইল ছবি।

আজ বড়দিন। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনেও পালিত হচ্ছে জিশুর জন্মদিবস। পালিত হচ্ছে বটে, তবে তাতে প্রাণের টানের বড়ই অভাব। কিন্তু বড়দিন বলে কথা! ইউক্রেনের মানুষকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানালেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। মনে করিয়ে দিলেন, ঠিক যে ভাবে ফেব্রুয়ারি থেকে হাজারো ঘটনা স্রেফ সহ্য করে গিয়েছেন দেশবাসী, আসন্ন শীতটাও তেমনই সহ্য করে নেবেন। রাশিয়া ইউক্রেনের মাথা নত করাতে পারবে না।

Advertisement

যে ভাবে রাশিয়ার আক্রমণের মুখে পড়ে ইউক্রেনের হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহারা, তা-ও উঠে আসে প্রেসিডেন্টের সম্ভাষণে। তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীনতার জন্য প্রচুর মূল্য চোকাতে হয়। কিন্তু মনে রাখবেন, ভৃত্যবৃত্তি করার খরচ কিন্তু আরও বেশি।’’ তার পরেই গত দশ মাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে বড়দিনের বার্তায় জ়েলেনস্কি বলেন, ‘‘যুদ্ধের একেবারে শুরু থেকে আমরা কত কী না সহ্য করে এসেছি। রাশিয়ার আক্রমণ, হুমকি, পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা… আরও কত কী! আমি জানি, ঠিক তেমনই আমরা এই শীতটাও কাটিয়ে দেব। কারণ আমরা জানি, আমরা লড়াইটা কী জন্য লড়ছি।’’

গত অক্টোবর থেকে কৌশল বদলে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ঘাঁটিগুলোকে নিশানা বানিয়েছে রাশিয়া। এর ফলে দেশের বিশাল অংশ সারা দিনই থাকছে বিদ্যুৎবিহীন। শীতের মরসুমে কাজ করছে না ঘর গরম করা বা জল গরম করার উপকরণও। ফলে সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে ইউক্রেনবাসীর সামনে। এই প্রেক্ষিতে রাশিয়াকে মৌখিক আক্রমণের মাত্রা আরও কয়েক কদম বাড়িয়ে দিলেন জ়েলেনস্কি।

Advertisement

বড়দিনের বার্তায় রাশিয়াকে সরাসরি ‘জঙ্গি রাষ্ট্র’ বলে অভিহিত করেছেন জ়েলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘‘রাশিয়া শুধুমাত্র আনন্দ পাওয়ার জন্য ইউক্রেনীয়দের হত্যা করছে। এর চেয়ে দুঃখজনক সংবাদ কী হতে পারে। ওরা কি উন্মাদ!’’

শনিবারই ইউক্রেনের খেরসন শহরে রাশিয়ার বিমানহানায় অন্তত দশ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত আটষট্টি জন। পরিস্থিতি এমনই যে, শহরে রক্তের হাহাকার দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রক্ত দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। সম্ভবত সেই কথা মাথায় রেখেই জ়েলেনস্কি বলেন, ‘‘আমরা আবার উৎসব উপভোগ করব। আমরা হাসব, আমরা আবার খুশিতে নেচে উঠব। কিন্তু আগের সঙ্গে এ বারের একটা পার্থক্য আছে। জানেন কী সেই পার্থক্য? আমরা কোনও মিরাক্যালের অপেক্ষায় থাকব না, আমরা নিজেই তা করে নেব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement