ভয়ানক তুষারঝড়ের দাপটে বিপর্যস্ত গোটা আমেরিকা। ইতিমধ্যেই এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ১৫ লক্ষ পরিবার বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪৫ ডিগ্রি নীচে চলে গিয়েছে। কোথাও আবার এত তুষারপাত হয়েছে যে, ১০ ফুট তুষারের তলায় চলে গিয়েছে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর।
প্রবল তুষারপাত আর ঝোড়ো হাওয়ার জেরে আমেরিকা জুড়ে বিমান পরিষেবা ব্যাহত। ফ্লাইটঅ্যাওয়ার-এর দাবি, শুক্রবার ৫,৯৩৪টি বিমান বাতিল হয়েছে। শুক্রবার ২,৭০০টি বিমান বাতিল করা হয়েছিল। আবহাওয়া দফতরের খবর, আমেরিকার টেক্সাস থেকে কানাডার কেবেক, এই ৩২০০ কিলোমিটার ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে এই তুষারঝড়। যার কবলে পড়ে আমেরিকায় ১৫ লক্ষ মানুষ কাল থেকে বিদ্যুৎহীন। বোমা বিস্ফোরণের মতোই মারাত্মক এর অভিঘাত বলে এই শৈত্যঝড়কে ‘বম্ব সাইক্লোন’ নাম দিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।
তুষারঝড়ে দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে গিয়েছে মিনেসোটা, আইওয়া, বাফেলো, উইসকনসিন, মিশিগান ও নিউ ইয়র্কে। ঝোড়ো হাওয়ায় উত্তাল ইরি হ্রদ। হ্রদের পার্শ্ববর্তী শহরগুলিতে পরিস্থিতি ভয়াবহ। প্রবল তুষারপাত হচ্ছে সুপিরিয়র, মিশিগান, হুরন, অন্টারিও হ্রদের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে।
ঝোড়ো হাওয়ায় বহু জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। গাছ ভেঙে পড়েছে। পাওয়ারআউটরেজ ডট ইউএস ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, মেইন, পেনসিলভেনিয়া, ভার্জিনিয়া, উত্তর ক্যারোলাইনা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে। তার পরই রয়েছে টেনিসি, নিউ ইয়র্ক, মেরিল্যান্ড এবং কানেকটিকাট।
নিউ ইয়র্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন সেখানকার গভর্নর ক্যাথি হোচুল। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। যে ভাবে তাপমাত্রা নামছে, তা অসহনীয় হয়ে উঠছে ক্রমশ। এর মধ্যেই কোথাও কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে তাপমাত্রা আরও নামছে। যা জীবনহানির আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।”