লিসা নন্দী। —ফাইল চিত্র।
কিয়ের স্টার্মারের মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিয়েছেন লিসা নন্দী। সংস্কৃতি, সংবাদমাধ্যম ও ক্রীড়া মন্ত্রকের দায়িত্বে এলেন তিনি। ব্রিটেনের এই মন্ত্রীর সঙ্গে বঙ্গের যোগসূত্র তাঁর বাবার সূত্রে।
বাবা দীপক নন্দীর জন্ম কলকাতায় (১৯৩৬)। সেন্ট জ়েভিয়ার্সের এই প্রাক্তনী ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়ার জন্য লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন পঞ্চাশের দশকে। লিডসে পড়ার সময়েই ১৯৬৪ সালে মার্গারেট গ্রেসি নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন দীপক। পরে কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। মার্গারেটের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে ১৯৭২-এ লুই বায়ার্সকে বিয়ে করেন। তাঁদের কনিষ্ঠ সন্তান লিসা।
১৯৭৯ সালে ম্যাঞ্চেস্টারে জন্ম তাঁর। নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটি থেকে রাজনীতি নিয়ে পড়াশোনার পরে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত বার্কবেক কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হন। তাঁর মা লুই বায়ার্স টেলিভিশন প্রোডিউসর। উল্লেখ্য লুইয়ের বাবা লর্ড বায়ার্স হাউস অব লর্ডসে লিবারাল নেতা ছিলেন। সেই সূত্রে রাজনীতি যেন লিসার রক্তেই।
২০০৬ থেকে ’১০ পর্যন্ত কাউন্সিলর ছিলেন। ২০১০-এ লেবার পার্টির টিকিটে প্রথম বার এমপি হন লিসা। সেই শুরু। নর্থ ইংল্যান্ডের উইগান কেন্দ্র থেকে জিতছেন তিনি। এ বারে তাঁর জয়ের ব্যবধান প্রায় ১০ হাজার। এর আগে বিরোধী থাকাকালীন ছায়ামন্ত্রী হিসেবে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্ব সামলেছেন। বিদেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, শক্তিসম্পদ সংক্রান্ত বিষয়েরও ছায়ামন্ত্রী ছিলেন। ২০২০ সালে লেবার নেতৃত্বের পালাবদলের সময়ে তিনিও দলীয় দায়িত্ব গ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। স্টার্মার ও রেবেকা লং-বেলির পরে তৃতীয় হন।
তবে লেবার ক্ষমতায় আসতে সংস্কৃতি, সংবাদমাধ্যম ও ক্রীড়া মন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন। এর আগে এই মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন কনজ়ারভেটিভ পার্টির লুসি ফ্রেজ়ার। তিনি এ বারে হেরে গিয়েছেন। এই তিন মন্ত্রকে লেবারদের ছায়ামন্ত্রী ছিলেন থঙ্গম দেবোনেয়ার। তবে তিনিও জিততে না পারায় লুসিকে আনা হল এই তিন মন্ত্রকের দায়িত্বে।
লুসির পার্টনার অ্যান্ডি কলিস জনসংযোগ পরামর্শদাতা। তাঁদের একমাত্র সন্তানের জন্ম ২০১৫ সালে।