আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ছবি—রয়টার্স।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার আগ্রাসন নীতি নিয়ে একাধিকবার ভার্চুয়াল বৈঠকে আলোচনা সেরেছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়া তাদের সামরিক বাহিনী না সরালে পুতিন-ঘনিষ্ঠ রুশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন বাইডেন। আরও এক বার মস্কোকে হুঁশিয়ারি দিল ওয়াশিংটন। তবে এ বার বাইডেন নন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক প্রত্যাঘাতের হুমকি দিয়েছেন আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
গত কাল ব্রাসেলসে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন নেটো আধিকারিকেরা। যেখানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেন ব্লিঙ্কেন। তার পরেই তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ইউক্রেন সীমান্তে রুশ বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সমস্যার সমাধান এখনও আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব বলে আমরা মনে করি। আমরা সেটাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি। তবে প্রয়োজনে নেটো বাহিনী সামরিক ভাবে প্রত্যুত্তর দিতেও প্রস্তুত।’’ শুধু তাই নয়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন সীমান্তের অবস্থা নিয়ে বিশ্বকে একাধিক ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগও এনেছেন ব্লিঙ্কেন।
ব্লিঙ্কেনের পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন নেটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলটেনবার্গও। তিনি জানিয়েছেন, নিজেদের নীতি থেকে এক চুলও সরবেন না তাঁরা।
গত কাল নেটো বাহিনীর বৈঠক ছিল মূলত আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে নেটো আর রাশিয়া কাউন্সিলের বৈঠকের প্রস্ততি পর্ব নিয়ে। উল্লেখ্য, কম পক্ষে দু’বছর পরে আগামী বুধবার বৈঠকে মুখোমুখি হতে চলেছেন নেটো বাহিনী ও রুশ সরকারের আধিকারিকেরা। এই পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নেটোর কাছে আগাম শর্ত দিয়ে রেখেছেন যে ইউক্রেনকে যদি নেটোর অন্তর্ভুক্ত না করা হয়, তা হলেই একমাত্র সীমান্ত থেকে বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাববেন তিনি।
স্টোলটেনবার্গ অবশ্য জানিয়েছেন, কোন দেশকে নেটোর মধ্যে নেওয়া হবে এবং বাহিনী কী ভাবে কোনও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জবাব দেবে তা একান্তই তাদের বিষয়। বাইরে থেকে কেউ তাতে প্রভাব ফেলতে পারে না। অর্থাৎ পুতিনের শর্ত তাঁরা না-ও মানতে পারেন, আকারে ইঙ্গিতে সে কথা বুঝিয়ে রেখেছেন নেটো কর্তা।