ঢাকার তেজগঞ্জের একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তারক্ষীদের পাহারা। ছবি: পিটিআই।
বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনে হিংসা থামছে না। সকাল থেকেই ছোটখাটো অশান্তির খবর আসছিল দেশের নানা প্রান্ত থেকে। বেলা বাড়তে অশান্তি বেড়েছে। একাধিক বুথে ভোট বাতিল করতে হয়েছে। ভোট-হিংসায় প্রাণও গিয়েছে। চট্টগ্রামে ভোটকেন্দ্রের সামনেই এ বার গুলি চলার অভিযোগ উঠল। বিডি নিউজ় জানিয়েছে, চট্টগ্রামের পাহাড়তলি কলেজের ভোটকেন্দ্রের সামনে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ভোটকেন্দ্রের বাইরে রবিবার সকালে প্রকাশ্যে এক যুবককে গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে। তবে তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।
গুলিবিদ্ধ যুবকদের নাম শান্ত বড়ুয়া এবং মহম্মদ জামাল। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁরা চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, সকালে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হওয়ার কিছু পরেই চট্টগ্রামের পাহাড়তলি কলেজে অশান্তি শুরু হয়। শাসকদল আওয়ামী লীগের সমর্থকদের সঙ্গে ফুলকপি প্রতীকের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। তার জেরেই গুলি চলেছে। তবে বন্দুকধারী কোন পক্ষের সমর্থক, তা জানা যায়নি।
বিডি নিউজ় জানিয়েছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সূত্রে বেলা ৩টে পর্যন্ত ২৭ শতাংশ ভোট পড়ার কথা জানা গিয়েছে। অর্থাৎ, মোট সাত ঘণ্টায় ওই ভোট পড়েছে। ভোটগ্রহণের আর এক ঘণ্টা বাকি।
সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথে ভোটারের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো কম। বিরোধী বিএনপি-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল এই ভোট বয়কট করেছে। সাধারণ মানুষকেও ভোট বয়কটের জন্য আহ্বান জানিয়েছে তারা। এ ছাড়া, খালেদা জিয়ার দল শনিবার থেকে বাংলাদেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য রবিবার সকাল সকাল ভোট দিয়েছেন। জানিয়েছেন, দলের সাফল্যের বিষয়ে তিনি আশাবাদী। বিরোধীদের বয়কট বা ধর্মঘটকে গুরুত্ব দিতে রাজি হননি প্রধানমন্ত্রী।