Asteroid

কান ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছে একটি, তবে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে আরও একটি গ্রহাণু, কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?

গ্রহাণু সূর্যের চারদিকে ঘোরে। তবে মাঝে মাঝে গ্রহদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ফাঁদে পড়ে যায়। তখন নিজেদের গতিপথ বদলে ছুটে আসে পৃথিবী বা অন্য কোনও গ্রহের দিকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২২ ১৬:২৫
Share:

আবারও পৃথিবীর কাছে চলে আসতে পারে একটি গ্রহাণু। প্রতীকী ছবি।

স্বস্তির শ্বাস! একটুর জন্য বেঁচে গেল পৃথিবী। শনিবার তার কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেল এক গ্রহাণু। জানা গিয়েছে, পৃথিবীর মাত্র ৫০ লক্ষ পাঁচ হাজার ৫৯.৮৪ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছিল গ্রহাণু ২০২২ আরবি৫। পাশ কেটে বেরিয়ে না গেলে বিপদ হতে পারত, জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তবে বিপদ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। কারণ সোমবার, আবারও পৃথিবীর কাছে চলে আসতে পারে একটি গ্রহাণু।

Advertisement

আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, ২০২২ আরবি৫ গ্রহাণুর আকার ছিল অনেক বড়। আর পৃথিবীর খুব কাছে চলে এসেছিল এটি। তাই বিপদ হতে পারত। তবে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে আরও একটি গ্রহাণু। নাম ২০০৫এজেড২৮। ঘণ্টায় তার গতি ১৯ হাজার ৫২২ কিলোমিটার। পৃথিবীর ক্ষতি করার যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে এই গ্রহাণুর।

Advertisement

গ্রহাণু সূর্যের চারদিকে ঘোরে। তবে মাঝে মাঝে গ্রহদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ফাঁদে পড়ে যায়। তখন নিজেদের গতিপথ বদলে ছুটে আসে পৃথিবী বা অন্য কোনও গ্রহের দিকে। কখনও পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যায়। কখনও সংঘর্ষও হয়। সে কারণেই গ্রহাণুর গতিপথে নজর রাখে নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি।

নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্রহাণু দু’টি কারণে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। এক, তার আকারের কারণে ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। গ্রহাণু যদি ১৫০ মিটারের বেশি বড় হয়, তা হলে বিপদ বাড়ে। দুই, পৃথিবী থেকে ৭৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে গ্রহাণু চলে এলে সমস্যা হতে পারে।

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ২০০৫এজেড২৮ গ্রহাণুর দৈর্ঘ্য ৪৬ মিটার। নাসার বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, গ্রহাণুটি পৃথিবীর ২৭.৩ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্য চলে আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিপদ হতে পারে। গবেষণায় জানা গিয়েছে, ছ’কোটি ৬০ লক্ষ বছর আগে এ রকমই কোনও গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল। ২০১৩ সালে রাশিয়াতে একটি গ্রহাণু পড়ায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বিপুল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement