— প্রতীকী চিত্র।
শত্রুর বন্ধুকেও ছাড় দিতে নারাজ ইজ়রায়েল। তাই হানা দিল সিরিয়ায়। বৃহস্পতিবার ইজ়রায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিরিয়ার প্রধান দুই বিমানবন্দর। এতটাই যে বন্ধ করে দিতে হয়েছে বিমান পরিষেবা। সিরিয়ার তরফে এই খবর জানানো হয়েছে।
ইজ়রায়েলি হানায় সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস এবং আলেপ্পোর বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা করতে পারছে না। এই দু’টি বিমানবন্দরই যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার সরকারের নিয়ন্ত্রণে। সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘ক্রমাগত’ হানায় দু’টি বিমানবন্দরে বিমান অবতরণে জায়গা (ল্যান্ডিং স্ট্রিপ) নষ্ট হয়েছে।
গত শনিবার থেকে ইজ়রায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হানা শুরু করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গাজ়া সীমান্তে দাঁড়িয়ে ইজ়রায়েল লক্ষ্য করে লাগাতার গুলিও ছোড়ে তারা। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ইজ়রায়েলে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১,২০০ জন। বেশির ভাগই সাধারণ মানুষ। পাল্টা গাজ়ায় আক্রমণ শুরু করেছে ইজ়রায়েলও। গাজ়াতেও অন্তত হাজার জন মারা গিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। সেদেশে গিয়েছেন আমেরিকার আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ফোন করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। সব আরব এবং ইসলামিক দেশগুলিকে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ডাক দেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে সিরিয়াতেও ক্ষেপণাস্ত্র হানা শুরু করেছে ইজ়রায়েল। সিরিয়া সেনা মনে করছে, গাজ়া থেকে ‘নজর ঘোরাতে’ এসব করছে ইজ়রায়েল।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়া। সেখানে এর আগেও শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইজ়রায়েল। ইরান সমর্থিত বাহিনী, লেবাননের হেজবোল্লা যোদ্ধা এবং সিরিয়ার বাহিনীকে নিশানা করেই এই হামলা। এই হামলা নিয়ে যদিও মুখ খোলেনি ইজ়রায়েল। যদিও জানিয়েছে, শত্রু ইরানকে তাদের প্রতিবেশী দেশে বিস্তার লাভ করতে দেবে না। অন্য দিকে, ইজ়রায়েলে হানার জন্য হামাসের প্রশংসা করেছে ইরান। উদ্যাপনও করেছে। তবে জানিয়েছে, তারা এ সবে জড়িত নয়।