কাঠমান্ডু থেকে পোখরা না গিয়ে বেঁচে গেলেন নেপালের দুই যুবক। ছবি: পিটিআই।
কাঠমান্ডু থেকে পোখরা না গিয়ে বেঁচে গেলেন নেপালের দুই যুবক। তাঁদের আরও তিন বন্ধু পোখরা যাওয়ার বিমানে উঠেছিলেন। রবিবার সকালে সেই বিমানই ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয় তিন জনের।
মৃত তিন নেপালি যুবক হলেন, রাজু ঠাকুরি, রবিন হামাল এবং অনিল শাহি। গত শুক্রবার নেপাল থেকে তাঁরা কেরলে এসেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন আরও দু’জন। পাঁচ বন্ধু কেরলের এক বৃদ্ধ ধর্মপ্রচারকের শেষকৃত্যে যোগ দিতে এসেছিলেন। এক দিন কেরলে থেকে শনিবার আবার দেশে ফেরেন তাঁরা। কাঠমান্ডু থেকে পোখরার বিমানে ওঠেন তিন জন। বাকি দুই যুবক সে দিন আর পোখরা যেতে রাজি হননি। যে কারণে ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন তাঁরা।
কেরলের ধর্মপ্রচারক ম্যাথিউ ফিলিপ দীর্ঘ ৪৫ বছর নেপালে কাটিয়েছেন। সম্প্রতি ফিরে এসেছিলেন দেশে। নেপালে থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল ওই পাঁচ স্থানীয় যুবকের। ম্যাথিউয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাই ছুটে এসেছিলেন তাঁরা। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এক দিন ছিলেন কেরলে। তার পর ফিরে যান।
ম্যাথিউয়ের নাতি জানান, শুক্রবার সকালে নেপাল থেকে পাঁচ জন তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন। এক দিন থাকার পর আবার চলে যান। তাঁর দাদুর সঙ্গে ওই পাঁচ নেপালি যুবকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। শেষকৃত্যের সময় তাঁরা দাদুর প্রিয় নেপালি গান গেয়েছিলেন বলেও জানান ম্যাথিউয়ের নাতি।
পোখরা বিমানবন্দরে নামার কয়েক সেকেন্ড আগে ভেঙে পড়ে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটি। বিমানে ক্রু সদস্য-সহ মোট ৭২ জন ছিলেন। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে ৬৮ জনের মৃতদেহ। বিমানে থাকা সকলেরই মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিমানটিতে অন্তত ৫৩ জন নেপালি যাত্রী ছিলেন। রাজু, রবিনরাও ছিলেন তাঁদের মধ্যে।