পোখরার দুর্ঘটনাস্থল থেকে জীবিত অবস্থায় কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। ছবি: পিটিআই।
নেপালের সেনাবাহিনীর তরফে সোমবার জানানো হল, পোখরার দুর্ঘটনাস্থল থেকে জীবিত অবস্থায় কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। এখনও পর্যন্ত যে ক’জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই মৃত।
৭২ জনকে নিয়ে পোখরা বিমানবন্দরে ভেঙে পড়েছে নেপালের বিমান। মাটি ছোঁয়ার মাত্র কয়েক সেকেন্ড আগে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ৬৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। সোমবার নেপাল সেনা জানিয়ে দিল, বেঁচে আছেন, এমন কাউকে উদ্ধারকাজের সময় খুঁজে পায়নি তারা।
রবিবার নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের যাত্রিবাহী বিমান এটিআর-৭২ পোখরা বিমানবন্দরে নামার আগে সেতি গন্ডকি নদীর ধারের জঙ্গলে ভেঙে পড়ে। মূলত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা। যাকে বলা হচ্ছে নেপালের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিপর্যয়। ওই বিমানের ৭২ জন যাত্রীর মধ্যে ছিলেন পাঁচ ভারতীয়। তাঁদের সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন, সোনু জয়সওয়াল (৩৫), অভিষেক কুশওয়াহা (২৫), বিশাল শর্মা (২২), অনিল কুমার রাজভর (২৭) এবং সঞ্জয় জয়সওয়াল।
স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল এটিআর-৭২ বিমানটি। তাতে পাঁচ ভারতীয় ছাড়াও ছিলেন ৫৩ জন নেপালি, এক জন আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা, দু’জন কোরীয়, এক জন আর্জেন্টিনীয় এবং এক জন ফরাসি যাত্রী। সবক’টি দেহ উদ্ধার করা না গেলেও বিমানে থাকা সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কী ভাবে এমন দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে নেপাল সরকার। ৪৫ দিনের মধ্যে তাঁরা এ বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করবেন।
দুর্ঘটনার পর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘‘নেপালের এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় আমি গভীর ভাবে শোকাহত। দুর্ঘটনায় অনেকের প্রাণ গিয়েছে, ভারতীয়রাও আছেন তাঁদের মধ্যে। এই শোকের সময় মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি।’’