ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণ লেবাননে। ছবি: রয়টার্স।
পেজারের পর এ বার ওয়াকি-টকি। যোগাযোগের মাধ্যমকেই বিস্ফোরক বানিয়ে ফের নাশকতা লেবাননে। এই ঘটনার নেপথ্যেও ইজ়রায়েলের হাত রয়েছে বলে মনে করছে ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লা। ওয়াকি-টকি হামলায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে লেবাননের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানা গিয়েছে। আহত হয়েছেন ৪৫০ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হিজ়বুল্লা গোষ্ঠীর ব্যবহৃত ওয়াকি-টকিতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তবে কী ভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটল, তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। পেজার হামলার মতো এই হামলার ঘটনাকেও নিরাপত্তায় ‘বড় গলদ’ বলে মনে করছে হিজ়বুল্লা।
অন্য দিকে, মঙ্গলবারের পেজার হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২। দু’টি হামলা মিলিয়ে সিরিয়ায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩০০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। দ্বিতীয় হামলার নেপথ্যে ইজ়রায়েলের সশস্ত্র সংগঠন মোসাদ রয়েছে বলে মনে করছে হিজ়বুল্লা। যদিও এখনও পর্যন্ত দু’টি হামলার বিষয়েই মুখ খোলেনি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ। অনেকের আশঙ্কা, এর পর পশ্চিম এশিয়ার স্থিতাবস্থা আরও বিঘ্নিত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে গাজ়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনার উদ্যোগও ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পেজার হল যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম একটি ডিভাইস। মোবাইল ফোনের বিকল্প হিসাবে পেজারের ব্যবহার হয়ে থাকে। সাধারণত বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী এই ডিভাইস ব্যবহার করে। লোকেশন ট্র্যাক করা যায় না পেজারে। হাতে বা পকেটে করে পেজার নিয়ে ঘোরা যায়। সেই পেজারের মধ্যেই বিস্ফোরক রেখে মঙ্গলবার লেবাননে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। বুধবার বিস্ফোরণ ঘটানো হল যোগাযোগের আর এক মাধ্যম ওয়াকি-টকির মাধ্যমে।