ইলন মাস্ক (বাঁ দিকে) এবং জো বাইডেন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
এক সময়ে সমাজমাধ্যম ‘টুইটার’-এর (বর্তমানে এক্স) কর্ণধার ছিলেন। এখন মালিকানা তাঁর হাতে থাকলেও বর্তমানে শুধুই ‘টেসলা’ এবং ‘স্পেস এক্স’-এর কর্ণধার তিনি। সেই ধনকুবের ইলন মাস্ককে খুনের হুমকি দিলেন তাঁরই সংস্থার কর্মী। একা মাস্ক নন, খুনের হুমকি দেওয়া হল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে সেই পোস্ট দেখার পরেই গ্রেফতার করা হয়েছে টেসলায় কর্মরত এক যুবককে।
ধৃতের নাম জাস্টিন ম্যাককলে। ৩১ বছর বয়সি জাস্টিন মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানান, তিনি জো বাইডেন এবং ইলন মাস্ককে হত্যার পরিকল্পনা করছেন। প্রথমে একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘আমি টেক্সাসে যাব, সেখানে একসঙ্গে একাধিক ফ্রন্টে যুদ্ধ শুরু হয়েছে।’’ তার পর অন্য একটি পোস্টে বাইডেন ও মাস্ককে উদ্দেশ করে জাস্টিন লেখেন, ‘‘আমি আপনাদের সবাইকে খুন করার পরিকল্পনা করছি।’’
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, জাস্টিনের স্ত্রী রজার্সই পুলিশকে ফোন করেন। তিনি জানান, তাঁর স্বামী রীতিমতো ঘোষণা করেছেন যে তিনি টেক্সাসে চলে যাচ্ছেন এবং আর ফিরে আসবেন না। যাতে তাঁর উপর নজরদারি না করা যায়, তার জন্য নিজের মোবাইল ফোনটিও বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন জাস্টিন।
রজার্সের ফোন পাওয়ার পরেই তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। ওকলাহোমা পেরিয়ে টেক্সাসের দিকে যাওয়ার সময়েই মিনেসোটার বাসিন্দা জাস্টিনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী হুমকির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের জেরার মুখে জাস্টিন জানান, তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু কেন? এর জবাবে তদন্তকারীদের উদ্দেশে ধ়ৃতের পাল্টা প্রশ্ন , ‘‘আপনি যদি জানতে পারেন যে, আপনি আগামিকাল মারা যাবেন, তা হলে কি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলতে চাইতেন না?’’
সূত্রের খবর, জাস্টিন পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তিনি অস্টিনের টেসলার গিগাফ্যাক্টরিতে গিয়ে মাস্কের সঙ্গেও দেখা করতে চান। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, টেসলার গিগাফ্যাক্টরিতে একটি হুমকি ফোন এসেছিল। তবে সেই ফোনটি জাস্টিনই করেছিলেন বা করিয়েছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। মাস্ক এবং বাইডেনের উপর তাঁর এমন আক্রোশের কারণ কী, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।