করাচির ঘটনাস্থলে পড়ে এক জঙ্গির মৃতদেহ। পাশে বিপুল অস্ত্র ও খাবার। রয়টার্স
সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে পাকিস্তানের করাচিতে স্টক এক্সচেঞ্জে হামলার ঘটনায় পাকিস্তান এবং চিনের অর্থনীতির উপর আঘাত হানাই মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে জানিয়েছে বালুচিস্তানের জঙ্গি সংগঠন ‘বালোচ লিবারেশন আর্মি’ (বিএলএ)।
বালুচিস্তানে চিনের জড়িয়ে পড়ার কারণেই চিনকে নিশানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই জঙ্গি সংগঠন। সোমবার করাচির স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনটি খোলার কিছু ক্ষণের মধ্যেই হামলা চালায় চার সশস্ত্র বালোচ জঙ্গি। ঘটনায় নিহত হন তিন নিরাপত্তাকর্মী এবং এক জন পুলিশ অফিসার। বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ওই হামলাকারীদের সকলে।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ভারতের দিকে আঙুল তুলেছে পাকিস্তান। পরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পাঠানো ই-মেলে ওই হামলার দায় নেয় বালোচ জঙ্গি সংগঠন। করাচি স্টক এক্সচেঞ্জে চিনের বড় অঙ্কের লগ্নি রয়েছে। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জানিয়েছে, এ নিয়ে দ্বিতীয় বার করাচির কোনও গুরুত্বপূর্ণ ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টা করল বিএলএ। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে চিনা কনসুলেটে হামলার দায় নেয় বিএলএ।
পাক গোয়েন্দা সূত্রের দাবি,২০১১ সালে বিএলএ মজিদ ব্রিগেড তৈরি করে। প্রয়াত পাক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর এক দেহরক্ষী তাঁকে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন। সেই দেহরক্ষীর নামেই ওই ব্রিগেডের নাম রাখা হয়। তারা ২০১৮ সালের অগস্টেও বালুচিস্তানে ডালবানডিন এলাকায় চিনা ইঞ্জিনিয়ারদের একটি বাসের উপরে হামলা চালায়। গত বছরে হামলা চালায় গ্বদর শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে। ওই হামলার পরে চিনাদের বালুচিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়ে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে বিএলএ। বালুচিস্তান চিন-পাকিস্তান আর্থিক করিডরের অংশ। তাই সেখানে চিনাদের বড় উপস্থিতি রয়েছে। পাক গোয়েন্দাদের মতে, মজিদ ব্রিগেডের শহরে হামলা চালানোর উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নেই। তাই বেশির ভাগ হামলাই ব্যর্থ হচ্ছে।