পাক হানায় আফগানিস্তানে ভেঙে গিয়েছে বাড়ি। ছবি: রয়টার্স।
আফগানিস্তানে এ বার আকাশপথে হামলা চালাল পাকিস্তান। জোড়া হামলায় অন্তত আট জনের প্রাণ গিয়েছে বলে দাবি করেছে সে দেশের তালিবান সরকার। তালিবানের তরফে এই হামলার নিন্দা করা হয়েছে। পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও সম্প্রতি নবনির্বাচিত পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ‘প্রত্যাঘাতে’র হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
সোমবার তালিবান সরকারের মুখপাত্র জ়বিউল্লাহ মুজাহিদ একটি বিবৃতি দিয়ে জানান, ভোর ৩টে নাগাদ একটি পাকিস্তানি বিমান থেকে পর পর দু’বার বসতি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। তাতেই প্রাণ যায় আট জনের। নিহতদের প্রত্যেকেই শিশু এবং মহিলা বলে দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। তালিবানের দাবি মোতাবেক, এই হামলা চালানো হয়, পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী আফগানিস্তানের খোস্ত এবং পাকটিকা প্রদেশে। কাবুল জানায়, এই হামলা চালিয়ে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত করা হচ্ছে।
২০২১ সালে তালিবান পুনরায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সীমান্ত নিয়ে সংঘাত এবং সংঘর্ষ শুরু হয়। ইসলামাবাদ দাবি করে, আফগানিস্তানের মাটি থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি বার বার পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে হামলা চালাচ্ছে। শনিবার এমনই এক হামলায় সাত পাক সেনার মৃত্যু হয় বলে জানায় পাকিস্তান। নিহত সেনাদের শেষকৃত্যে উপস্থিত হয়ে জারদারি হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছিলেন, যারা আমাদের দেশে ঢুকে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। মনে করা হচ্ছে, কারও নাম না করলেও পড়শি আফগানিস্তানকেই নিশানা করেছেন তিনি।
দীর্ঘ দিন ধরেই পাকিস্তানের আফগান সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ অংশ সশস্ত্র গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর মুক্তাঞ্চল। টিটিপি-র সঙ্গে আফগান তালিবানের একটি অংশের সুসম্পর্ক রয়েছে। বার বার পাক সেনার সঙ্গে টিটিপি-র সংঘর্ষের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এর আগে পাক সেনা টিটিপি-র সঙ্গে শান্তি আলোচনার চেষ্টা করলেও তা ভেস্তে যায়।