বিদ্রোহী যোদ্ধারা হামা শহরের কয়েক মাইল উত্তরে পৌঁছে গিয়েছেন। — ফাইল চিত্র।
সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো এবং ইদলিব প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর মারাত আল নুমান দখলের পরে এ বার আর এক জনপদ হামার দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল দুই বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী।
বিদ্রোহী শিবির এবং ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ বুধবার জানিয়েছে, বিদ্রোহী যোদ্ধারা হামা শহরের কয়েক মাইল উত্তরে পৌঁছে গিয়েছেন। মার শাহুর শহরতলিও এখন তাঁদের দখলে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত সেনারা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তবে এখনও বিদ্রোহীদের অগ্রগতি রুখতে রাশিয়া বিমানহানা চালাচ্ছে অগ্রবর্তী বিদ্রোহী বাহিনীর উপর।
প্রসঙ্গত, এইচটিএস-এর আগে নাম ছিল নুসরা ফ্রন্ট। আমেরিকা, রাশিয়া -সহ আরও বেশ কিছু দেশ এদের জঙ্গি গোষ্ঠী বলে চিহ্নিত করেছে। তুরস্কের মদতেপুষ্ট আসাদ-বিরোধী বাহিনী সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ) ভেঙেই তৈরি হয়েছে এই গোষ্ঠী। অন্য দিকে, ‘জইশ আল-ইজ্জা’র সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ রয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের। ওই যৌথবাহিনীকে তুরস্ক মদত দিচ্ছে বলে আসাদ সরকারের অভিযোগ।
গত ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে সিরিয়ায়। সেখানে যুযুধান বেশ কয়েকটি পক্ষ। ২০১১ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে মদত দিয়েছিল আমেরিকা। পরবর্তী সময়ে আইএসের বাড়বাড়ন্ত রুখতে নেটো বাহিনী হামলা চালিয়েছিল। সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, গত কয়েক মাসে ইজ়রায়েলি বিমানহানায় আসাদ বাহিনীর অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই দামাস্কাস রক্ষার জন্য তাদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে।