ইজ়রায়েলি বোমাবর্ষণের মধ্যে দুই বয়স্ক প্যালেস্টাইনি। গাজ়ায়। ছবি: রয়টার্স।
হামাসের ভয়াবহ হামলার পরে ভারত-সহ নানা দেশের সরকার ইজ়রায়েল সরকারের পাল্টা হামলার নীতিকে সমর্থন জানালেও ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া-সহ বিশ্বের নানা প্রান্তে প্যালেস্টাইনের পক্ষে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন লাখো মানুষ। গাজ়া ও পশ্চিম ভূখণ্ডে দশকের পর দশক ধরে দখলদারি চালিয়ে আসা ইজ়রায়েল পাল্টা হামলার নামে যে ভাবে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবিরাম বোমাবর্ষণ করে চলেছে, ‘জঙ্গি ঘাঁটি’ বলে দেগে দিয়ে স্কুল-কলেজের ছাত্রাবাস ও হাসপাতালও গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, তার বিরুদ্ধে সরব হন বিক্ষোভকারীরা। প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতার দাবিতে স্লোগান দেন। নিজ নিজ দেশের সরকার যাতে ইজ়রায়েলের সঙ্গ ছেড়ে প্যালেস্টাইনের নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ান, সেই দাবি জানান।
নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে কয়েক হাজার মানুষ প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতার দাবি তুলে এ দিন বিক্ষোভ দেখান। ইজ়রায়েল সমর্থকদেরও ছোট্ট একটি জমায়েত পুলিশি ঘোরাটোপের মধ্যে স্লোগান দিলে উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে বেশি কিছু হয়নি। আটলান্টা, ওয়াশিংটন, সান ফ্রান্সিসকো, লস অ্যাঞ্জেলেসেও প্যালেস্টাইনের পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিভিন্ন শহরে ইহুদি সংগঠন ও সিনাগগ কর্তৃপক্ষ রবিবার ইজ়রায়েলে হামাসের হামলার প্রতিবাদে জমায়েতের ডাক দিয়েছিলেন। হামলায় নিহত ইহুদিদের স্মরণে অনুষ্ঠানও করা হয়। কিন্তু উপস্থিতির দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে ছিল প্যালেস্টাইনের সমর্থনে জমায়েতগুলো।
অস্ট্রেলিয়া সরকার ইজ়রায়েলের পাশে এসে দাঁড়ালেও প্যালেস্টাইনের সমর্থনে সিডনিতে এ দিন একটি বিশাল সমাবেশ হয়। ইউরোপের বার্লিন, লন্ডন, প্যারিস, কোপেনহাগেন, মাদ্রিদ, লিসবন-সহ নানা শহরে প্যালেস্টাইনে ইজ়রায়েলের ‘দখলদারি’ অবসানের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান মানুষ। এরই মধ্যে, জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্যালেস্টাইনকে সব রকম মানবিক সাহায্য দেওয়া বন্ধের ঘোষণা করেছে।