ডোনাল্ড ট্রাম্প। — ফাইল চিত্র।
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা এ বারের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বড় জনসভা বা কোনও রকম জনসমাগম থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিল ইউএস সিক্রেট সার্ভিস। কেন এই উপদেশ দেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে আমেরিকার রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, আবারও কি ট্রাম্পের উপর হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে?
সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সিক্রেট সার্ভিস ট্রাম্পকে নিষেধ করেছে তিনি যেন বাইরে কোনও সমাবেশে এখনই যোগ না দেন। নিরাপত্তার কারণেই এই উপদেশ বলেও জানিয়েছে সিক্রেট সার্ভিস। তবে ঘরোয়া বৈঠকে আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছে ট্রাম্পের নিরাপত্তায় থাকা সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই সিক্রেট সার্ভিসের প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কিম্বারলি শিয়াটল। এক বিবৃতি প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, গত ১৩ জুলাই পেনসিলভেনিয়ার সভায় ট্রাম্পের উপর যে হামলা হয়েছিল, তার দায় তাঁর দফতরের। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তায় যে গলদ ছিল সে দিন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন কিম্বারলি।
রিপাবলিকানের হয়ে আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন ট্রাম্প। দেশ জুড়ে একাধিক জায়গায় সভা করছেন তিনি। গত ১৩ জুলাই বেথেল পার্কের ফেয়ার গ্রাউন্ডের সভায় ট্রাম্পের উপর প্রাণঘাতী হামলা হয়। অভিযুক্ত টমাস ক্রুকের ছোড়া গুলি কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। সেই ঘটনার পর থেকেই ট্রাম্পের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রসঙ্গত, আমেরিকার সব রাজনীতিকদের নিরাপত্তা দেয় সিক্রেট সার্ভিস নামে ওই সংস্থা। সে দিনের সভায় ট্রাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বেও ছিল তারা। তাই গুলিকাণ্ডের পর সিক্রেট সার্ভিসের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছিল।
২০ বছর বয়সি তরুণ টমাস কেন ট্রাম্পকে খুন করতে চেয়েছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত করছে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। সিক্রেট সার্ভিসের একাধিক আধিকারিক এবং নিরাপত্তাকর্মীকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা। যদিও এখনও হামলার কারণ স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক তদন্ত করে এফবিআই জানিয়েছে, ট্রাম্পকে হামলার নেপথ্যে টমাস একাই ছিলেন। তার মধ্যেই নতুন করে ট্রাম্পকে নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করল সিক্রেট সার্ভিস।