প্রতীকী চিত্র।
ক্যালিফর্নিয়ায় গবেষণারত একদল বিজ্ঞানী বাজারে থাকা ৬৯টি ওষুধ ও পরীক্ষামূলক রাসায়নিক যৌগ চিহ্নিত করেছেন, যা কোভিড-১৯ নিরাময়ের উপায় হয়ে উঠতে পারে। এই দলে রয়েছেন কিছু ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানীও। তাঁদের গবেষণাপত্রটি ‘বায়োআরএক্সআইভি’ নামে একটি বিজ্ঞান সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীদলের মতে, তাঁদের চিহ্নিত ওষুধের মধ্যে কিছু (ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপে দেওয়া হয়) ইতিমধ্যেই আক্রান্তদের উপরে প্রয়োগ করা হয়েছে। অনেকের কাজও দিয়েছে। তাঁদের কথায়, ‘‘প্রতিষেধক হাতে পাওয়ার আগে পর্যন্ত এগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।’’ বিজ্ঞানীদলের অন্যতম ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনা টি নুয়েন বলেন, ‘‘ভাইরাসের প্রোটিনের উপর থেকে নজর সরিয়ে আমরা মানুষের শরীরে সেই সব প্রোটিনের উপরে চোখ রাখছি, যাদের উপরে ভাইরাসটি প্রভাব বিস্তার করে।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য তিন গবেষক অদ্বৈত সুব্রহ্মন্যম, শ্রীবত ভেঙ্কটরামানন ও জ্যোতি বাতরা জানান, এমন ৩৩২টি হিউম্যান প্রোটিন নজরে এসেছে তাঁদের। মানুষের শরীরে থাকা এই প্রোটিনগুলিই ভাইরাসটিকে সংক্রমণ ঘটাতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানীদের চিহ্নিত ৬৯টি ওষুধ মানুষের শরীরে থাকা ওই বিপজ্জনক প্রোটিনগুলোকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ২৫টি ওষুধকে কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় অনুমোদন দিয়েছে ‘ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’।