Russia Ukraine War

Russia Ukraine war: কুড়ি বছরের প্রেম শেষ হয়ে গেল এক গুলিতে, ধ্বংসস্তুপে ‘রৌদ্র’-কে খোঁজেন ইরিনা

রাশিয়ান সৈন্যদের গুলিতে মারা গুলিতে মারা গিয়েছেন ওলেহ্। যে দিন তাঁদের বাড়ি হামলা চালায় রুশ সেনা, সেই দিনটির কথা ভাবলেই বুক কেঁপে ওঠে ইরিনার।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

বুচা শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২২ ১৪:১৭
Share:

ইরিনা ও ওলেহ্ ছবি টুইটার

২০ বছর আগে ইউক্রেনের বুচা শহরের একটি হাসপাতালে তাঁদের দেখা হয়েছিল। ওই হাসপাতালে কাজ করতেন ইরিনা আব্রামোভা। হাসপাতালে ছাদ সারাতে এসেছিলেন তরুণ এক যুবক। নাম ওলেহ্। কাজের ফাঁকে পেশীবহুল, সুদর্শন ওই যুবককে এক ঝলক দেখেই প্রেমে পড়ে যান ইরিনা।

তিনিই প্রথম এগিয়ে গিয়ে ওলেহ্‌র সঙ্গে কথা বলেন। তার পর নিয়মিত যোগাযোগ, দেখা-সাক্ষাৎ। প্রেম গভীর হতে এক সঙ্গে বুচায় থাকতেও শুরু করেন তাঁরা। বিয়েও করেন। ইরিনা ওলেহ্কে ডাকতেন ‘সানশাইন’ (রৌদ্রকরোজ্জ্বল) বলে আর ওলেহ্ তাঁর নাম দিয়েছিলেন ‘কিটি’। কিন্তু সেই কুড়ি বছরের প্রেম সেই শেষ হয়ে গেল একটি গুলিতে।

Advertisement

রাশিয়ান সৈন্যদের গুলিতে মারা গুলিতে মারা গিয়েছেন ওলেহ্। যে দিন তাঁদের বাড়ি হামলা চালায় রুশ সেনা, সেই দিনটির কথা ভাবলেই বুক কেঁপে ওঠে ইরিনার। এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারেন না কিছুই।

৫ মার্চ সকালে রুশ সেনারা তাঁদের বাডি়র জানলা দিয়ে একটি গ্রেনেড ছোড়ে। বাডি়তে আগুন ধরে যায়। ওলেহ্‌র মাথায় বন্দুক ধরে তাঁকে বাইরে নিয়ে যায়। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে বার হন ইরিনা। কিন্তু পর মূহূর্তেই দেখেন মাটিতে মুখে থুবড়ে পড়ে রয়েছেন ওলেহ্। কান থেকে বেরিয়ে আসছে রক্ত।

Advertisement

ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া বাড়ি। ছবি টুইটার

ইরিনার ঠাঁই হয়েছে বোমা নিরোধক আশ্রয়স্থলে। তবু মাঝে মাঝে চলে আসেন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া বাডি়টিকে দেখতে। দীর্ঘ ক্ষণ শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন বাড়িটির দিকে। ওলেহ্-র সঙ্গে তাঁর সেই প্রেমের দিনগুলির স্মৃতি মনের মধ্যে তরঙ্গ তোলে।

সে দিন এক রাশিয়ান কম্যান্ডার ইরিনার বুকে বন্দুক তাক করেছিলেন। এক বার নয়। পর পর তিন বার। “গুলি করুন! গুলি করুন!”— চিৎকার করেছিলেন ইরিনা। কিন্তু তাঁকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় সেনারা।

ইরিনা অনুশোচনা, কেন সে দিন ট্রিগারটা টানলেন না ওই কম্যান্ডার। ঘটনার পর বার কয়েক আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন তিনি।
কিন্তু পরে সরে এসেছেন সেই ভাবনা থেকে। কারণ তাঁর মতে, আত্মহত্যা পাপ। পাপ করলে তিনি স্বর্গে যেতে পারবেন না। তা হলে তো তাঁর স্বামীর দেখা হবে না!

এখন ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে চিরমিলনের আশায় দিন গুনছেন ইরিনা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement