লুহানস্কের ছোট শহর লাইসিচ্যানস্কের বাসিন্দা ওকসানা। এই শহর পুরোপুরি রাশিয়ার দখলে চলে গিয়েছিল। গত ২৭ মার্চ প্রেমিক ভিক্টরের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর জখন হন ওকসানা।
স্বামী ভিক্টরের সঙ্গে হাসপাতালেই নাচলেন ওকসানা। ছবি সৌজন্য টুইটার।
প্রেমিকের সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছিলেন ওকসানা। কিন্তু রুশ সেনার পুঁতে রাখা মাইনে পা পড়তেই ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল তাঁ দু’টি পা-ই। জখম হয়েছিল বাঁ হাতও। বাঁচার আশা ছিল না তাঁর। সেই ইউক্রেনীয় তরুণীই মৃত্যুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন জীবন শুরু করলেন। আর তাঁর সেই নবজীবনের সূচনা হল হাসপাতালেই।
ওকসানা দু’টি পা-ই বাদ গিয়েছে সেই ঘটনায়। বাঁ হাতের চারটি আঙুলও বাদ গিয়েছে। সৌভাগ্যবশত সেই ঘটনায় ওকসানার প্রেমিক ভিক্টর আহত হননি। সেই প্রেমিকের সঙ্গেই হাসপাতালে গাঁটছড়া বাঁধলেন বছর তেইশের ওকসানা। নববধূর বেশে সাজানো হয়েছিল তাঁকে। হাসপাতালের কর্মীদের সাক্ষী রেখে লিভের হাসপাতালেই বিয়ে সারলেন ওকসানা-ভিক্টর। তাঁরা নাচলেনও। ওকসানাকে কোলে নিয়ে নাচলেন ভিক্টর। একটা আনন্দঘন মুহূর্তে ভেসে গিয়েছিলেন তাঁদের আত্মীয় থেকে হাসপাতালের কর্মীরাও। নববধূকে আশীর্বাদও করেন তাঁরা।
লুহানস্কের ছোট শহর লাইসিচ্যানস্কের বাসিন্দা ওকসানা। এই শহর পুরোপুরি রাশিয়ার দখলে চলে গিয়েছিল। গত ২৭ মার্চ প্রেমিক ভিক্টরের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর জখন হন ওকসানা। জটিল অস্ত্রোপচারের পর তাঁর দু’টি পা বাদ দিতে হয়। আরও ভাল চিকিৎসার জন্য ওকসানা জামার্নি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে পরিবার সূত্রে খবর।