লা স্ত্রাদা-ইউক্রেন নামে একটি সংস্থার প্রেসিডেন্ট, কাটরিনা চেরেপাখা বলেন, সংস্থার জরুরি হটলাইনে প্রায় প্রতিদিন রুশ সেনার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আসছে। সংস্থাটির দাবি, কয়েকদিন আগেই ন’টি ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ এসেছে তাদের কাছে। যে ঘটনায় মহিলা এবং নাবালিকা মিলিয়ে ১০ জন নির্যাতিতা হয়েছেন।
গণধর্ষণ, শিশুদের সামনের ধর্ষণের মতো ঘটনাও সামনে এসেছে বলে দাবি। ফাইল ছবি
রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে গুরুতর অভিযোগ এনেছে ইউক্রেনের একটি মানবাধিকার সংস্থা। ধর্ষণকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে রুশ বাহিনী। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাদের কাছে একটি নয়, একাধিক এই ধরনের অভিযোগ জমা পড়েছে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে। তবে একই অভিযোগ উঠেছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধেও।
লা স্ত্রাদা-ইউক্রেন নামে একটি সংস্থার প্রেসিডেন্ট, কাটরিনা চেরেপাখা বলেন, সংস্থার জরুরি হটলাইনে প্রায় প্রতিদিন রুশ সেনার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আসছে। সংস্থাটির দাবি, কয়েকদিন আগেই ন’টি ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ এসেছে তাদের কাছে। যে ঘটনায় মহিলা এবং নাবালিকা মিলিয়ে ১০ জন নির্যাতিতা হয়েছেন।
নিরাপত্তা পরিষদে ভিডিয়ো বার্তায় তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘‘এই ঘটনা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। প্রতিদিন তাদের কাছে ভূরিভূরি অভিযোগ আসছে ধর্ষণের। রুশ সেনা ধর্ষণকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে।’’
তবে ইউক্রেনের এই দাবি মানতে নারাজ রাশিয়া। ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের দাবি, অসামরিক ব্যক্তিদের উপর হামলা ঘটনা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই রাষ্ট্রপুঞ্জ বলে তাদের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরাও রুশসেনার বিরুদ্ধে একাধিক যৌননির্যাতনের অভিযোগ পেয়েছেন। এমনকি গণধর্ষণ, শিশুদের সামনের ধর্ষণের মতো ঘটনাও সামনে এসেছে বলে দাবি তাদের।
তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে নিরাপত্তা পরিষদের কাছে ইউক্রেন সেনার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এসেছে। এই অভিযোগ নিয়ে ইউক্রেনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু তারা কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মহিলা বিষয়ক বিভাগের অন্যতম কার্যনির্বাহী পরিচালক সিমা বাহাহউস বললেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সব অভিযোগের তদন্ত করা হবে।